আপনাকে যাঁরা পছন্দ করেন না, কীভাবে তাঁদের সামলে চলবেন
Published: 18th, May 2025 GMT
কর্মক্ষেত্রে কিংবা পারিবারিক আয়োজনে এমন মানুষের মুখোমুখি আপনি হতেই পারেন, যিনি আপনাকে ঠিক পছন্দ করেন না। হয়তো ঘৃণা বা বিদ্বেষও পোষণ করেন। এমন কারও দেখাও আপনি পেয়ে যেতে পারেন, যিনি প্রায় সবার সঙ্গেই অমন আচরণ করেন। এ ধরনের মানুষদের সামলানো বেশ মুশকিল বটে।
রেগে গিয়ে যা হোক একটা কিছু বলে দিতে পারেন আপনিও। তবে তা মোটেও ‘স্মার্টনেস’ নয়। অহেতুক তর্কে না জড়িয়ে, মাথা ঠান্ডা রেখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
উত্তেজিত হবেন না। পৃথিবীর সবাই আপনাকে ভালোবাসবে না, কেউ কেউ অপছন্দ করতেই পারেন। আপনার প্রতি মন্দ আচরণের অনেক কারণও হয়তো থাকতে পারে ওই ব্যক্তির কাছে। হয়তো আপনার কোনো কাজের কারণে তাঁর স্বার্থে আঘাত লেগেছে। কিংবা হয়তো তিনি ব্যক্তিগত জীবনের রাগ-ক্ষোভ অকারণেই ঝাড়ছেন আপনার ওপর। তাই তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেও আপনি শান্ত থাকবেন। আপনি তো জানেন, আপনি কেমন মানুষ। অন্যের কথায় কী আসে–যায়!
আরও পড়ুনআপনি কি ঝগড়ার সময় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন১৮ জানুয়ারি ২০২৪হাসিতে বিশ্বজয়কেউ খারাপ আচরণ করলেও আপনি হাসিখুশি থাকুন। যদি মেজাজ হারান, তাহলেই তো অপর পক্ষের সার্থকতা! সহজভাবে কথা বলুন। কথা বলার আগে লম্বা শ্বাস নিতে পারেন। পরিবেশ হালকা করতে নিজের রসবোধ কাজে লাগাতে পারেন। ওই ব্যক্তি অবশ্য তাতে না-ও থামতে পারেন। কিন্তু আপনি তাঁর সঙ্গে সহজভাবেই কথা বলুন।
নীরবতাই যখন দৃঢ়তাআপনি নম্রভাবে কথা বলা সত্ত্বেও যদি ওই ব্যক্তি ক্রমাগত খারাপ আচরণ করতে থাকেন, তাহলে তাঁকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাঁর মুখোমুখি হতে হলেও কেবল কুশল বিনিময় করুন। তাঁর খারাপ কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কখনো কখনো এই নীরবতাই হতে পারে আপনার শক্তি।
খারাপ থেকে মন সরিয়েকারও আচরণে কষ্ট পেলে ভাবনার গতিপথ অন্যদিকে সরিয়ে নিন। পছন্দের একটা অডিও ক্লিপ শুনুন, প্রিয় কোনো বইয়ের পাতা ওলটান কিংবা কিছুক্ষণের জন্য ভিন্ন পরিবেশে ঘুরে আসুন। অন্য মানুষ যতটা খারাপ আচরণই করুক না কেন, আপনি নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। কাজের সময় তাতেই গভীরভাবে মনোনিবেশ করুন।
ভালোবাসার চর্চা চলুককেউ যদি আপনার সঙ্গে ঘৃণার চর্চা করেন, তাতে দমে যাবেন না। আপনি কাছের মানুষদের ভালোবাসার চর্চা চালিয়ে যান। কাছের মানুষদের সঙ্গে আপনার বন্ধন যতটা শক্তিশালী হবে, আপনি ততই মানসিকভাবে শক্তিশালী হবেন। তাহলে অন্যের অযাচিত আচরণে ভেঙে পড়বেন না।
সূত্র: রিডার’স ডাইজেস্ট, মিডিয়াম ডট কমআরও পড়ুনযেভাবে চিয়া সিড খেলে চুল পড়া কমবে১২ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান
বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত একদল ব্যক্তি চাকরি ফিরে পাওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে সংঘটিত ঘটনাবলি নিয়ে রাতে একটি বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর বলেছে, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে রোববার কতিপয় বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্য তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় প্রেসক্লাবে যায় এবং অত্যন্ত ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য শোনে। প্রতিনিধিদল সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধিবিধান অনুসারে দাবিদাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়। একই সঙ্গে অভিযোগসমূহ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৪ মে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে। তবে দুঃখজনক যে আজকের (রোববার) কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আইএসপিআর বলেছে, পরপর দুবার সফল বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বরখাস্ত সেনাসদস্যের উসকানি ওই প্রতিনিধিদলের গাড়ির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়। সমগ্র দিনজুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুসংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।
যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে—এমন কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয় বলে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর। তারা বলেছে, সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে। সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবার সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।