নোয়াখালীর হাতিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৮ মে) বিকেলে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম আজমল হুদা।

এর আগে, গত রাতে উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওসমান (৫০) জোড়খালি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। অভিযুক্ত বড় ভাই হলেন জবিয়ল হক।

নিহতের স্ত্রী পারুল বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে ওসমানের সঙ্গে তার বড় ভাই জবিয়ল হকের বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার দিবাগত রাতে ওসমান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যায়। এর কিছু সময় পর তার চিৎকার শুনে বাইরে গিয়ে দেখেন, ওসমান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে হত্যার দায়ে মা ও মেয়ের যাবজ্জীবন 

নড়াইলে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ আসামি ৩৬, গ্রেপ্তার ২

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শিফন চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ওসমানের পুরুষাঙ্গ এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’’

ওসি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে জবিয়ল হকের স্ত্রী ছকিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য বড় ভ ই ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবালয় বিটে কর্মরত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পত্র পাঠানো হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

তিনি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের জন্য সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা চালুর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের পাশাপাশি ৫ নম্বর গেট দিয়েও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বিএসআরএফের সভাপতির প্রস্তাব আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ