জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে যুবলীগ নেতার অনুদান নেওয়ায় তদন্ত কমিটি
Published: 19th, May 2025 GMT
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে আহত খুলনার তেরখাদার যুবলীগ নেতা মিনারুল ইসলামকে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১৮ মে) রাতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডলকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন- পুলিশ সুপার সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ইউএনও (তেরখাদা) ও দুইজন ছাত্র প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা)। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে রাইজিংবিডিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। রাতে খুলনা জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।
রাইজিংবিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম ৪ আগস্ট ছাত্রদের ওপর হামলা চালান। পরে ছাত্রদের ধাওয়ায় তিনি খুলনা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে পালাতে গিয়ে আহত হন। আহত হওয়ার সেই নথি জমা দিয়ে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সি ক্যাটাগরিতে নাম তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি। গত ১৪ জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তিনি ১ লাখ টাকা অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী চেক বিতরণ করা হয়েছে। আলোচিত মিনারুল ইসলামের নামটিও মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ করা। তারপরও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
হিলিতে ১৫ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
দিনাজপুরের হিলিতে ময়না তদন্তের জন্য দাফনের প্রায় ১৫ মাস পর কবর থেকে হাবিবুর রহমান (৬৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কাকড়াপালি কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের উপস্থিতি দিনাজপুর সিআইডি পুলিশ তার লাশ উত্তোলন করেন।
সিআইডি পুলিশের এসআই আসাদ হোসেন জানান, হাবিবুর রহমান ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল জমি-জমা সংক্রান্ত বিবাদে মারা যান।
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন বাদি হয়ে একই গ্রামের মনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার হাবিবুর রহমানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস