সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুলের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 19th, May 2025 GMT
সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলামের আরও আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের বিদেশি ১৩টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া নর্দান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, তাঁর স্ত্রী হালিমা সুলতানা, ছেলে সাদ আল জাবির আবদুল্লাহ, মেয়ে লাবিবা আবদুল্লাহ ও হাবিবুন নাহারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ছিলেন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২২ আগস্ট তাঁকে অবসরে পাঠায় সরকার। দুদকের পক্ষ থেকে আজ আদালতে বলা হয়েছে, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশত্যাগ করলে দুর্নীতির রেকর্ডপত্র ও সম্পদ বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। আদালত শুনানি নিয়ে সিআইডির সাবেক প্রধানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলামের আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। তাতে বলা হয়, সাফিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। আদালত ওই আট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের ১৩টি বিও হিসাব আদালতের কাছে তুলে ধরেছে দুদক। দুদক লিখিতভাবে আদালতকে বলেছে, সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্রসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁদের ১৩টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
এ ছাড়া নর্দান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, স্ত্রী হালিমা সুলতানা, ছেলে সাদ আল জাবির আবদুল্লাহ, মেয়ে লাবিবা আবদুল্লাহ ও হাবিবুন নাহারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করে দুদক। দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, নর্দান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক হ স ব অবর দ ধ আবদ ল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন
সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট।
ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”
স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান
সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”
জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
ডা. জয়নব
তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।
ঢাকা/শান্ত