সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
Published: 20th, May 2025 GMT
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এ দম্পতির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুদক কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় তিনি ও তার স্ত্রী বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে। এ কারণে গত ১৩ মে খুলনার বিজ্ঞ মহানগর স্পেশাল জজ আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৫ মে আদালত আবেদন গ্রহণ করে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে আদালতের আদেশের কপি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এবং বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশনের কাছে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
ফের দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে ‘নগদ’, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বাড়ছে
তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তাঁর স্ত্রী গত ৪ আগস্ট থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাধা, গুলি চালানো ও হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলাও হয়েছে।
তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.
দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক তাদের আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার ব্যাংকের ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। এর মধ্যে শুধু আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখায় পাঁচ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া গেছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়বে
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে সীমিত আয়ের মানুষের জন্য কোনো সুসংবাদ দেননি। দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি দাপট দেখালেও আয়করের সীমা না বাড়ানোয় তঁাদের কপালে ভাঁজ থেকেই গেছে। ফলে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি যাঁদের বার্ষিক আয়, তাঁদের আয়কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু অর্থবছরের পয়লা দিন প্রবীণ, অবসরভোগী ও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য নতুন দুঃসংবাদ হলো সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমে যাওয়া।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে আগামী ছয় মাসের জন্য সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। নতুন হার অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সুদহার হবে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
পৃথিবীর সব কল্যাণকামী রাষ্ট্রেই প্রবীণ, অসমর্থ ও অবসরভোগী মানুষের জন্য আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। সেটি কোথাও নগদ অর্থ বা কম দামে পণ্য কেনার সুযোগের মাধ্যমে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এতটাই ভঙ্গুর যে খুব কম মানুষ এর থেকে সুবিধা পান। বিগত সরকারের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে সেই নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল যাঁদের পাওয়ার কথা, তাঁরা পাননি। সে ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের একাংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের লভ্যাংশের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং এখনো আছেন। ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় তাঁরা বিপদে পড়বেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দেখা গেছে।
তবে সরকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলকভাবে বেশি দেওয়ায় অপেক্ষাকৃত সীমিত আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবেন, যদিও তা আগের মতো নয়। কম বিনিয়োগে বেশি সুদের হার এবং বেশি বিনিয়োগে কম সুদের হার—সরকারের এই নীতি সঠিক বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে সীমা সাড়ে ৭ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ করা যেতে পারে। কেননা সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে একজন মানুষ মাসে যে লভ্যাংশ পাবেন, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয় কোনোভাবেই।