মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

এ দম্পতির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম। 

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুদক কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় তিনি ও তার স্ত্রী বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে। এ কারণে গত ১৩ মে খুলনার বিজ্ঞ মহানগর স্পেশাল জজ আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৫ মে আদালত আবেদন গ্রহণ করে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে আদালতের আদেশের কপি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এবং বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশনের কাছে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

ফের দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে ‘নগদ’, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বাড়ছে

তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তাঁর স্ত্রী গত ৪ আগস্ট থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাধা, গুলি চালানো ও হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলাও হয়েছে। 

তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.

শরীফ হোসেন হায়দার এ আদেশ দেন। 

দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক তাদের আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার ব্যাংকের ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। এর মধ্যে শুধু আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখায় পাঁচ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া গেছে। 
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন