পথশিশু কেন্দ্রের শিশুর মৃত্যু, শ্বাসকষ্ট হলেও দেরিতে হাসপাতালে নেওয়ার অভিযোগ
Published: 20th, May 2025 GMT
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই মাস আগে রহমতউল্লাহ (১২) নামের শিশুটিকে আনা হয়। আজ সকালে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে শ্বাসকষ্ট হলেও তাঁকে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মাঝে তাকে কোনো চিকিৎসক দেখানো হয়নি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীর কমলাপুর ও কারওয়ান বাজারে দুটি কেন্দ্র পরিচালিত হয়। গত বছর কমলাপুর পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
রহমতউল্লাহর মা–বাবা রয়েছেন। তাঁরা মুগদার মান্ডা এলাকায় থাকেন। বাবা মাসুম খান পেশায় রিকশাচালক।
আজ দুপুরে কারওয়ান বাজারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার কর্মী ও কয়েক শিশু বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। ওই শিশুরা প্রথম আলোকে জানায়, রহমতউল্লাহ আগে কমলাপুর ‘পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ ছিল। সেখান থেকে তাকে কারওয়ান বাজার কেন্দ্রে আনা হয়। সে আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল। তার মা–বাবা আছে। তার মা–বাবা মাঝে মাঝে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দেওয়াত। এর মধ্যে গত মাসে রহমতউল্লাহ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগে।
ওই শিশুরা আরও জানায়, শ্বাসকষ্টের কারণে দুই দিন ধরে সে রাতে ঘুমাতে পারছিল না। গতকাল সোমবার রাত একটার দিকে রহমতউল্লাহর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। ওই সময় শিশুরা পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাসকে জানায়। তিনি এসে কথা বলেন রহমতউল্লাহর সঙ্গে। সকালে রহমতউল্লাহর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। সে খেতে বসে অস্থির অস্থির করতে থাকে। সকাল ৯টার দিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আফরোজা আক্তার, আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাসসহ তিনজন সিএনজিচালিত একটা অটোরিকশায় করে রহমতউল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) প্রথম আলোকে জানান, সকাল ১০টায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। শিশুটিকে তাঁরা মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁদের পক্ষে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। হাসপাতালের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত সনদে লেখা, ‘শিশুটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গতকাল রাত ১২টায় রহমতউল্লাহ অসুস্থ শোনার পর তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বিষয়টি তেমন গুরুতর বলে মনে হয়নি তাঁর কাছে। কারণ, রহমতউল্লাহর কথাবার্তা তাঁর কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। তিনি বলেন, দুই মাস আগে কমলাপুর স্টেশন এলাকার রাস্তা থেকে শিশুটিকে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়।
শিশুটি আগে থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল, গতকাল শ্বাসকষ্ট শুরুর পর তার চিকিৎসায় অবহেলা হলো কি না, জানতে চাইলে সরজিত কুমার বিশ্বাস দাবি করেন, রহমতউল্লাহর আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল, এটা তার জানা নেই। গতকালই তিনি প্রথম জানতে পারেন।
দুপুরে খাওয়া শেষে টেলিভিশন দেখছে শিশুরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র রহমতউল ল হ শ ব সকষ ট কমল প র প রথম অবস থ পথশ শ গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
পথশিশু কেন্দ্রের শিশুর মৃত্যু, শ্বাসকষ্ট হলেও দেরিতে হাসপাতালে নেওয়ার অভিযোগ
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই মাস আগে রহমতউল্লাহ (১২) নামের শিশুটিকে আনা হয়। আজ সকালে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে শ্বাসকষ্ট হলেও তাঁকে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মাঝে তাকে কোনো চিকিৎসক দেখানো হয়নি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীর কমলাপুর ও কারওয়ান বাজারে দুটি কেন্দ্র পরিচালিত হয়। গত বছর কমলাপুর পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
রহমতউল্লাহর মা–বাবা রয়েছেন। তাঁরা মুগদার মান্ডা এলাকায় থাকেন। বাবা মাসুম খান পেশায় রিকশাচালক।
আজ দুপুরে কারওয়ান বাজারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার কর্মী ও কয়েক শিশু বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। ওই শিশুরা প্রথম আলোকে জানায়, রহমতউল্লাহ আগে কমলাপুর ‘পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ ছিল। সেখান থেকে তাকে কারওয়ান বাজার কেন্দ্রে আনা হয়। সে আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল। তার মা–বাবা আছে। তার মা–বাবা মাঝে মাঝে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দেওয়াত। এর মধ্যে গত মাসে রহমতউল্লাহ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগে।
ওই শিশুরা আরও জানায়, শ্বাসকষ্টের কারণে দুই দিন ধরে সে রাতে ঘুমাতে পারছিল না। গতকাল সোমবার রাত একটার দিকে রহমতউল্লাহর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। ওই সময় শিশুরা পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাসকে জানায়। তিনি এসে কথা বলেন রহমতউল্লাহর সঙ্গে। সকালে রহমতউল্লাহর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। সে খেতে বসে অস্থির অস্থির করতে থাকে। সকাল ৯টার দিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আফরোজা আক্তার, আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাসসহ তিনজন সিএনজিচালিত একটা অটোরিকশায় করে রহমতউল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) প্রথম আলোকে জানান, সকাল ১০টায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। শিশুটিকে তাঁরা মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁদের পক্ষে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। হাসপাতালের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত সনদে লেখা, ‘শিশুটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানিয়েছেন, শিশুটির মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মী সরজিত কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গতকাল রাত ১২টায় রহমতউল্লাহ অসুস্থ শোনার পর তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বিষয়টি তেমন গুরুতর বলে মনে হয়নি তাঁর কাছে। কারণ, রহমতউল্লাহর কথাবার্তা তাঁর কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। তিনি বলেন, দুই মাস আগে কমলাপুর স্টেশন এলাকার রাস্তা থেকে শিশুটিকে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়।
শিশুটি আগে থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল, গতকাল শ্বাসকষ্ট শুরুর পর তার চিকিৎসায় অবহেলা হলো কি না, জানতে চাইলে সরজিত কুমার বিশ্বাস দাবি করেন, রহমতউল্লাহর আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল, এটা তার জানা নেই। গতকালই তিনি প্রথম জানতে পারেন।
দুপুরে খাওয়া শেষে টেলিভিশন দেখছে শিশুরা