গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাট শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনকে চরমভাবে ব্যাহত করছে। ঘনঘন ও অনিয়মিত লোডশেডিংয়ের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঘুম, বিশ্রাম এবং পানি সরবরাহসহ নানা মৌলিক চাহিদা পূরণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসিক সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ পার্শবর্তী ঘোড়াপীর মাজার, এনায়েতপুর, ফুলেরটেক, খেজুরটেক, পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত অস্থিতিশীল। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি ছাড়াই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পাঠ্যচর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন:

এডওয়ার্ড কলেজের ৩ আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন

কুবিতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিলেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অনিয়মিত লোডশেডিং আমাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি না থাকায় আমাদের পড়াশোনা ব্যাঘাত ঘটছে।”

তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ও রাতে যখন গভীর মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করা প্রয়োজন, তখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের পড়ার ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে এবং গরমের কারণে ঘুমের অভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

বিষয়টি নিয়ে সাভার পল্লি বিদ্যুৎ হেড অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

সাহেত শাহজাদা বলেন, “এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মূলত ধামরাই গ্রিড থেকে করা হয়। বরাদ্দকৃত পরিমাণ অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় করি। বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু আমরা পাচ্ছি মাত্র ১১-১২ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।”

শিক্ষার্থীদের চলমান ভোগান্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যাটি তুলে ধরব এবং লোডশেডিং হ্রাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাব।”

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ আম দ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

এক কার্গো এলএনজি ও ব্ল্যাংক স্মার্ট কিনতে ব্যয় হবে ৯৯৩ কোটি টাকা

দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৯৯২ কোটি ৯৬ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৯ টাকা।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ দুই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সভা সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। সব প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.২২৮০ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকা।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং সার্ভিসেস (আইডইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাংক কার্ড কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘মার্চ টু ঢাকা’ বুধবার
  • এক কার্গো এলএনজি ও ব্ল্যাংক স্মার্ট কিনতে ব্যয় হবে ৯৯৩ কোটি টাকা
  • ইবিতে স্থাপিত হবে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র
  • মসজিদে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা: ভালো হতে চেয়ে হলেন মাদক সম্রাট
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কো-অপ
  • তাহলে কি অ্যাপলের কারখানা আর চীন থেকে ভারতে যাচ্ছে না
  • ইয়ামাহা এফজেড ২৫ এর সরবরাহ শুরু
  • বস্তায় লবণের দাম বেড়েছে ৩০০ সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ী
  • পাকিস্তানের ‘পরমাণু বোমার জনক’ ড. আবদুল কাদির খান