লোডশেডিংয়ে ‘নাকাল’ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
Published: 20th, May 2025 GMT
গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাট শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনকে চরমভাবে ব্যাহত করছে। ঘনঘন ও অনিয়মিত লোডশেডিংয়ের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঘুম, বিশ্রাম এবং পানি সরবরাহসহ নানা মৌলিক চাহিদা পূরণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসিক সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ পার্শবর্তী ঘোড়াপীর মাজার, এনায়েতপুর, ফুলেরটেক, খেজুরটেক, পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত অস্থিতিশীল। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি ছাড়াই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পাঠ্যচর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
এডওয়ার্ড কলেজের ৩ আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন
কুবিতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিলেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অনিয়মিত লোডশেডিং আমাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি না থাকায় আমাদের পড়াশোনা ব্যাঘাত ঘটছে।”
তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ও রাতে যখন গভীর মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করা প্রয়োজন, তখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের পড়ার ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে এবং গরমের কারণে ঘুমের অভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে সাভার পল্লি বিদ্যুৎ হেড অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
শিক্ষার্থীদের চলমান ভোগান্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যাটি তুলে ধরব এবং লোডশেডিং হ্রাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাব।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ আম দ র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং