ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর স্মৃতি ধরে রাখতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী সাম্য ভাস্কর্য’–এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এই ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

শাহরিয়ার হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ভাস্কর্য তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে শাহরিয়ারের প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও হত্যার বিচারের দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস সিদ্দিক সায়মন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদলসহ অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন, যেমন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সমন্বয়ে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে এই প্ল্যাটফর্মটি গঠিত হয়েছে। তবে এর কোনো কমিটি নেই।’ এই প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে শাহরিয়ারের স্মৃতি ধরে রাখতে ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

ফ্যাসিবাদবিরোধী সাম্য ভাস্কর্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর আল হাদী মায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা সাম্য তাঁর অর্জিত বাংলাদেশেই নিরাপত্তা পাননি। পরবর্তী প্রজন্ম এই ভাস্কর্য থেকেই জানবে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে একজন অগ্রসৈনিক তার ত্যাগের ন্যূনতম মূল্যায়নটুকু পাননি।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরও প্রশাসনের উদাসীনতা ও দায় এড়ানোর প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।’

শাহরিয়ার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের বহু আগে থেকে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে রাজপথে থেকে সংগ্রাম করে আসছিলেন। তাঁর সেই লড়াই, আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে, তাঁর আদর্শকে ধারণ করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাম্য ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে এবং সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, আজ ফ্যাসিবাদবিরোধী সাম্য ভাস্কর্যের ভিত্তি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর শাহরিয়ার আলম সাম্যর পরিবার ও বন্ধুদের অনুমতিক্রমে এখানে তাঁর প্রতিকৃতি অথবা অন্য কোনো প্রতীকী ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম য ভ স কর য ভ স কর য র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে টিসিবি পন্য নিয়ে কারসাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা 

পন্য বিক্রিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ টিসিবি ডিলার সুবিধাভোগীদের  কাছে মাসে ২ বার পন্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে টিসিবি কার্ডধারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ট্রিপে ৬০/৭০ জন টিসিবি পন্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

টিসিবির কার্ডধারীরা পন্য নিতে এসে নানা ভাবে  বিভ্রান্তি শিকার হচ্ছে। টিসিবি কার্ডটি ডিলার যখন স্ক্যান করেন তখন বলেন আপনার কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। পরের ট্রিপে এসে মাল নিবেন। এভাবে অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

পরবর্তি ট্রিপে আরেক ডিলার যখন মাল নিয়ে আসেন তখন কার্ডধারীরা কার্ড নিয়ে এলে ঐ ডিলার কার্ড স্ক্যান করে বলে দেন আপনি আগের ট্রিপে মাল নিয়ে গেছেন। আমরা কার্ড আগের ট্রিপে একটিভ হয়েছে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা মাল না পেয়ে লাঞ্চনা  বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের  ২৩নং ওয়ার্ডে গত ২ মাস যাবত এমন অবস্থা চলছে।

অভিযোগ রয়েছে কার্ডধারীদের মাল না দিয়ে এ সকল মাল বাইরে বেশী দামে বিক্রি করে কার্ডধারীদের ঠকাচ্ছে।

নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে টিসিবি পন্য নিতে আসা জয়ন্তি রানী, উজ্জল, মনির, মিতু রানী, শান্ত দাস জানান, গত ২৫ জুন আমরা মাল নিতে আসলে ডিলার শফি বলেন আপনাদের কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। তাই তারা ফিরে যান।

পরবর্তিতে গত ২৯ জুন ডিলার মৌসুমী টিসিবি পন্য নিয়ে আসলে তাদের কার্ড স্ক্যান করলে বলেন আপনারা ২৫ জুন মাল নিয়ে গেছেন। এ ভাবে ডিলাররা কার্ড কারসাজি করে টিসিবি পন্য বেশী দামে অন্যত্র বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যপারে ডিলার মৌসুমী বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যতগুলি কার্ড স্ক্যান করি ততটা মাল বিক্রি করতে পারি। কার্ড স্ক্রান করে মাল না দেয়ার বিষয়ে বলেন, বর্তমানে সার্ভার সমস্যা করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, টিসিবি পন্য বিক্রির এ জটিলতার কথা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যারা প্রকৃত টিসিবি পন্য পাওয়ার যোগ্য তাদের অনেকে পাচ্ছেন না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

আর সিটি করর্পোরেশন এরিয়ার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাখে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবাদ প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ কেন
  • ভোলায় মহিলা দলের নেত্রীকে পিটিয়ে ছবি প্রকাশের দায়ে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
  • আন্দোলনে সৃষ্টিশীলতা
  • তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ডাকাতি, বিদেশি মুদ্রাসহ গ্রেপ্তার ১৩
  • সমকামীকে দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রি‌ভিউ দা‌বি
  • বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত
  • খুলনায় প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ প্রসঙ্গ: পরীক্ষা বাতিল, তদন্ত কমিটি
  • তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক নাগরিক ঐক্যের
  • বন্দরে টিসিবি পন্য নিয়ে কারসাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা