খুলনার সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 21st, May 2025 GMT
খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তার সহধর্মিনী সাবেক পরিবেশ উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ইতোমধ্যে আদালতের আদেশের কপি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশন এর নিকট পাঠানো হয়েছে।
দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম সমকালকে জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত চলমান। এ অবস্থায় তারা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে। এ কারণে গত ১৩ মে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিতের জন্য মহানগর স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করা হয়। গত ১৫ মে আদালত আবেদন গ্রহণ করে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে ১৭ মে আদালতের আদেশের কপি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দুদক থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার খালেকের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গত ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
এছাড়া গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী এলাকার সরকারি বরাদ্দ বিতরণের তালিকা চাওয়া হয়।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তালুকদার খালেক ও হাবিবুন নাহারের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেয় মহানগর স্পেশাল জজ আদালত। তাদের ৭টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি সঞ্চয়পত্রে মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা জমা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার সহধর্মিনী বেগম হাবিবুন নাহার। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাঁধা ও গুলিবর্ষণসহ হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীর সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফা, কীভাবে কিনবেন
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পান। তাঁদের জন্য আলাদা বিশেষায়িত সঞ্চয়পত্র আছে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র নামে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
বর্তমানে যে চারটি সঞ্চয়পত্র আছে, এর মধ্যে এই সঞ্চয়পত্রেই সবচেয়ে বেশি মুনাফার হার। ২০০৪ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মূল্যমান
৫০ হাজার টাকা; ১ লাখ টাকা; ২ লাখ টাকা; ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা।
কোথায় পাওয়া যায়
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে কেনা ও নগদায়ন করা যায়।
মেয়াদ
পাঁচ বছর
মুনাফা কত
১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। যেমন পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে, অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফা ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ; এখন তা করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ; এখন থেকে তা হবে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে কম হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা থেকে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।
উৎসে কর
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর কোনো উৎসে কর কর্তন করা হয় না। ৫ লাখ টাকার বেশি হলে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।
যাঁরা কিনতে পারবেন
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী-স্ত্রী, সন্তান।
অন্য সুবিধা
এক. প্রতি মাসে মুনাফা প্রদেয়;
দুই. নমিনি নিয়োগ করা যায়;
তিন. সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণের পর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে পারেন।