অবিলম্বে বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করুন
Published: 23rd, May 2025 GMT
বাংলাদেশে অভ্যুত্থান–পরবর্তী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য এবং এটা ছাড়া জাতি পথ হারাবে বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলছে, যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরি করতে অবিলম্বে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ (রূপরেখা) ঘোষণা করতে হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির কোনো বিকল্প নেই।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা হলো অভ্যুত্থানকারী সব রাজনৈতিক শক্তির অনুমোদন ও সমর্থন। ফলে এই ঐক্যের শক্তির ওপরে দাঁড়িয়েই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখার চেষ্টা করাই এখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর অগ্রাধিকার হতে হবে। সংঘাত নয় বরং এই ঐক্যের পথেই বাংলাদেশ তার নতুন রাজনৈতিক গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
সব দল ও বাংলাদেশের সব নাগরিককে পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করে, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য কমিয়ে আনার এবং পরস্পরের অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তের অতিরিক্ত সেনা সরাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
সংঘাতের সময় সীমান্তে মোতায়েন করা অতিরিক্ত সেনাসদস্যদের চলতি মাসের শেষ নাগাদ শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় দেশের সেনারা চলতি মাসের শেষের দিকে সংঘর্ষ-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবেন। উভয় দেশ ধাপে ধাপে, বিশেষ করে কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া এলাকা থেকে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
গত মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চার দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর এই সংঘাতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এনডিটিভি জানায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ১০ মে কিছুটা কমার পর ভারতের ভেতরে দেশবিরোধী কথা বলার অভিযোগে একাধিক শিক্ষাবিদ বা সাংস্কৃতিককর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতে আতঙ্কিত হচ্ছে দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু প্রশ্ন তোলায় গত রোববার আলি খান মাহমুদাবাদ নামের একজন শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্মীরি পণ্ডিত অধ্যাপক নিতাশা কলের ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া) কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পদোন্নতি পেয়ে জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল হয়েছেন, যা দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তাঁকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।