বিটিভিতে মেহজাবিন মৌশির রঙিন পৃথিবী
Published: 24th, May 2025 GMT
আজ বিটিভিতে প্রচারিত হবে শিশুতোষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান রঙিন পৃথিবী। শনিবার দুপুর ১২;২০ মিনিটে।
মেহজাবিন মৌশি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একজন প্রতিভাবান ও অনুপ্রেরণাদায়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। মাত্র ১০ বছর বয়সে, তিনি ইতোমধ্যে নিজেকে একজন আত্মপ্রত্যয়ী ও উৎসাহী ইংরেজি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মেহজাবিন ১৪ জানুয়ারি ২০১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় একটি বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন। ছোটবেলা থেকেই তার ইংরেজি ভাষার প্রতি অদম্য আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে ইংরেজি শেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন।
মেহজাবিনের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে তিনি তার ইংরেজি শেখার যাত্রা ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। তার ভিডিওগুলোতে ইংরেজি কথোপকথন, শব্দভান্ডার শেখা, উচ্চারণ অনুশীলন এবং আত্মউন্নয়নের নানা দিক উঠে আসে। তার সহজ, আন্তরিক এবং প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনেক ছোট ও বড় শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা জাগে।
এছাড়াও, তিনি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেও সক্রিয়, যেখানে তিনি ইংরেজি শিক্ষা এবং মোটিভেশনাল পোস্ট শেয়ার করেন।
তিনি নিজেই বলেন, “নিজেকে ভালোবাসো, প্রতিটি ছোট প্রাণ থেকে প্রতিটি মুহূর্তে শেখার চেষ্টা করো।”
মেহজাবিনের লক্ষ্য নিজেকে একজন দক্ষ মস্তিষ্কবিজ্ঞানী হিসেবে দেখতে চায়। তার প্রচেষ্টা দেখিয়ে দেয়, শেখার জন্য বয়স বা ব্যয়বহুল কোচিংয়ের দরকার নেই – দরকার কেবল ইচ্ছাশক্তি, উৎসাহ ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার।
তার গল্প আমাদের শেখায় – একজন শিশুও নিজের প্রচেষ্টায় কতদূর যেতে পারে এবং কিভাবে সে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে।
ইতিমধ্যে মস্তিষ্ক বিজ্ঞান এর কোর্স করছেন সম্পূর্ণ বিনামুল্যে। তাকে এনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, " ইচ্ছে থাকলে, ঘরে থাকা ইন্টারনেট বিশ্বকোষের মাধ্যমে সব কিছু জানা সম্ভব"।
তিনি "Inkitt" নামক একটি platform এ তার "Laila's Magical Life Story" নামক একটি বই প্রকাশ আছে। সেখানে তিনি তার জীবনের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে কিভাবে ইংরেজি শিখলো সে কথা বলা আছে। তার একটি রচনা প্রতিদিনের বাংলাদেশ নামক একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি বিটিভিতে কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থাপনা করছেন। ঈদ আনন্দ, রঙিন পৃথিবী, কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ শিশুতোষ অনুষ্ঠান, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ শিশুদের অনুষ্ঠান এ উপস্থাপনা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ শিশুতোষ অনুষ্ঠান এ দলীয় আবৃত্তিতে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি শিল্পকলা মঞ্চ এবং মঞ্চে উপস্থাপনা ও আবৃত্তি করেছেন।
তিনি অমর একুশে উপলক্ষে কিড্স জোনে প্রথম পুরস্কার এবং বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তিনি নিউইয়র্কের nrbnews24.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম হজ ব ন অন ষ ঠ ন উপলক ষ কর ছ ন করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এক কলেজে ৩ অধ্যক্ষ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের চেয়ার একটি। কিন্তু সেখানে অধ্যক্ষ তিনজন। একজন মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত। অপর দু’জন ভারপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একজন উচ্চ আদালত থেকে স্বপদে পুনর্বহাল হওয়ার রায় পেয়েছেন। এভাবে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসা নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে তিনজনের মধ্যে।
২০২১ সালের ৮ আগস্ট শিমুলবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ হয়। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-২-এর আদেশে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান অধ্যাপক এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর পদায়নের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। এর পর তিন মাসের জন্য উচ্চ আদালত থেকে স্বপদে পুনর্বহাল হওয়ার রায় পেয়েছেন তিনি। সিদ্দিকুর রহমান আদালতের আদেশ অমান্য করে কলেজের সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। কিন্তু নিয়মিত কলেজে আসছেন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সিদ্দিকুর রহমান। বর্তমানে ওই তিন অধ্যক্ষই কর্মরত আছেন কলেজটিতে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। তাঁর অভিযোগ, কলেজটি জাতীয়করণের পর থেকে তিনি বিধি অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পদায়ন যৌক্তিক। এর পরও বিধি ভঙ্গ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা দোসররা চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ১৩৫ কলেজের সঙ্গে শিমুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজে ক্যাডারভুক্ত এ কে এম সিদ্দিকুর রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ২৭ মে আদালতে রিট পিটিশন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১ জুন অধ্যক্ষ পদায়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং তাঁকে অধ্যক্ষ পদোন্নতি দিয়ে রায় দেন। ওই আদেশের পর এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকারী অশোক কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল দেওয়া হয়। তিনি সাড়া দেননি।
অধ্যক্ষ এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাঁর পদায়নের আদেশটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। এ অবস্থায় কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে অশোক কুমার রায়কে দায়িত্ব দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান অনুপস্থিত থাকায় অশোক কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।