সরকারি দিনমজুরের দৈনিক পারিশ্রমিক বাড়ল
Published: 24th, May 2025 GMT
সরকারি দপ্তরে দৈনিকভিত্তিক সাময়িক শ্রমিকের মজুরি সর্বোচ্চ ২২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে একজন দিনমজুর সরকারি কাজে দৈনিক সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাবেন, যা এতদিন ৫৭৫ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে ছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
পরিপত্রে অনুযায়ী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জরুরি সম্পাদনের জন্য সম্পূর্ণ সাময়িকভাবে দৈনিকভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য ‘দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী সরকার সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরির হার পুনঃনির্ধারণ করেছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন শ্রমিকের মজুরি হবে ৮০০ টাকা। এতদিন এ এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ৬০০ টাকা আর অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫৭৫ টাকা।
বিভাগীয় শহর এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় শ্রমিকের মজুরি দৈনিক ৭৫০ টাকা। এতদিন যা ছিল ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। মজুরি বাড়ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
জেলা ও উপজেলা এলাকায় নিয়মিত দক্ষ এবং অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। এতদিন এসব এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫৫০ টাকা, আর অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫০০ টাকা ছিল। এক্ষেত্রেও মজুরি বাড়ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
পরিপত্রে বেশকিছু শর্তের কথাও উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে-
‘দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োজন, মজুরি প্রদান এবং উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতসহ অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
শ্রমিকের সংখ্যা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার অনুকূলে বাজেটে দেওয়া বরাদ্দ থেকে এ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।
উল্লিখিত দৈনিক মজুরির হারে মাসিকভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না।
এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে এবং এ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য় এতদ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ব্যান্ড নিয়ে প্রথমবার নজরুল কনসার্ট-অ্যালবাম
দেশের আলোচিত ও প্রথম সারির ১০টি ব্যান্ড নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নজরুল কনসার্ট ২০২৫’ ও অ্যালবামের প্রকাশনা। যেখানে থাকছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গানের পরিবেশনা।
আগামী ৩১ মে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এ কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে গানের পাশাপাশি থাকছে বিদ্রোহী কবির বেশ কিছু কবিতার আবৃত্তি।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এ আয়োজন করছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট।
আয়োজকরা জানান, ৩১ মে বিকেল ৫টায় শুরু হবে ‘নজরুল কনসার্ট ২০২৫’, চলবে রাত পর্যন্ত। এর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা নন্দিত নির্মাতা সরয়ার ফারুকী। দর্শক বিনামূল্যে কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন। এদিকে কনসার্টে অংশ নেওয়া ১০টি ব্যান্ডে সোলস, আর্ক, ওয়ারফেজ, দলছুট, শিরোনামহীন, ডিফরেন্ট টাচ, ব্ল্যাক মিজান অ্যান্ড ব্রাদার্স, রেবেল ও এফ মাইনর ব্যান্ডগুলোকে নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করছে নজরুল ইনস্টিটিউট।
এ নিয়ে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক গীতিকবি লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, ‘স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে কাজী নজরুলের গান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। পাশাপাশি যে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে আমরা একটি বৈষম্যহীন দেশের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলেছি, সেখানেও নজরুলর গান অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। সে কারণেই জাতীয় কবির উদ্দীপনামূলক গানগুলো নিয়ে কনসার্ট আয়োজন ও অ্যালবাম প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার ৭ কর্মসূচিতেও এটি গুরুত্বসহকারে জায়গা পায়। সে কারণে কনসার্টের পাশাপাশি অ্যালবাম প্রকাশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাসে দেশের সব বড় ব্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ১০টি ব্যান্ডকে নজরুলের উদ্দীপনামূলক গানগুলো রেকর্ড করার দায়িত্ব দিই। কনসার্টের দিন ৩১ মে তারিখেই অ্যালবামটি প্রকাশ করা হবে। এতে থাকছে ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’, ‘শিকলপরা ছল্’, ‘পরদেশী মেঘ’ ‘জয় হোক জয় হোক’, ‘দুর্গম গিরি, কান্তার মরু’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘জাগো অনশন-বন্দী’ কালজয়ী গানগুলো। প্রতিটি গানেরই কথা, সুর ও স্বরলিপির নির্দেশনা মেনেই রেকর্ড করা হয়েছে।
গানের বাণী ও সুর থেকে শুরু করে গানের প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠিন নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে করে কোনোভাবেই এর বিকৃতি না ঘটে। এই কাজের জন্য প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নজরুলসংগীত পণ্ডিত ইয়াকুব আলী খান। অ্যালবামের গানগুলো নজরুল ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোয় শ্রোতারা শুনতে পাবেন। যুগের পর যুগ ধরে শ্রোতা মনে অনুরণন তুলে যাওয়া নজরুলের গানগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ আয়োজন বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।