বলিউডের কমেডি ফিল্ম ‘হেরা ফেরি’-এর তৃতীয় কিস্তি থেকে বাদ পড়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বলিপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গেলো, সুদে-আসলে অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থাকে ১১ লাখ রুপি ফেরত দিয়েছেন পরেশ।

বলি হাঙ্গামা-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরেশ রাওয়াল ছবির জন্য পাওয়া সাইনিং অ্যামাউন্ট ফেরত দিয়েছেন, যা এই প্রকল্পের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার আনুষ্ঠানিক ইতি টেনে দেয়। তিনি ১১ লাখ রুপি ফেরত দিয়েছেন, সঙ্গে দিয়েছেন বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে সুদ এবং অতিরিক্ত কিছু অর্থও।

সূত্রটি আরও জানায়, পরেশ রাওয়ালের পুরো পারিশ্রমিক নির্ধারিত ছিল ১৫ কোটি রুপি। টার্ম শিট অনুযায়ী তাকে ১১ লাখ রুপি সাইনিং মানি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, ছবিটি মুক্তির এক মাস পর তিনি বাকি টাকা তিনি পাবেন।

তবে ছবির মূল শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী বছরে এবং মুক্তির সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সালের শেষ ভাগ বা ২০২৭ সাল। এত দীর্ঘ সময় পর পুরো পারিশ্রমিক পাওয়ার বিষয়টি নাকি পরেশ রাওয়ালের জন্য ছিল মূল আপত্তির জায়গা, যা তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই অভিনেতার সঙ্গে অক্ষয় কুমারের প্রোডাকশন হাউজ ‘কেপ অফ গুড ফিল্মস’-এর মধ্যে আইনি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। প্রোডাকশন হাউজটি পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছে।

বর্তমানে শুধু একটি প্রোমো শুট সম্পন্ন হয়েছে, যেটি ‘ভূত বাংলো’ সিনেমার সেটে সেই টিম ব্যবহার করে শুট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হেরা ফেরি’ এবং ২০০৬ সালের ‘ফির হেরা ফেরি’ ছবিকে ধরা হয় বলিউডের কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে। বাবুরাও চরিত্রে পরেশ রাওয়ালের অসাধারণ অভিনয় ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম আকর্ষণ। তার অনুপস্থিতিতে তৃতীয় কিস্তি ঘিরে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ