দিনাজপুরে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 25th, May 2025 GMT
দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নাশকতার পরিকল্পনা, শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শহরের লালবাগ এলাকার মৃত মহসিন আলীর ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মুনতাসির মাহমুদ মিলন (৪৮), একই এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন রাফি (৩৮), রামনগর এলাকার মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোকছেদুর রহমান শাহজাদা (৪৬), একই এলাকার মৃত মোস্তফা হোসেনের ছেলে ১নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), ঘাসিপাড়া এলাকার মৃত সামিজুল ইসলামের ছেলে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজুল ইসলাম (৫৪), চেহেলগাজী ইউনিয়নের রফিক হাসানের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য রকি হাসান (২১), একই ইউনিয়নের মহাদেবপুরের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের সাদিপুরের আছির উদ্দিনের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম (৫৩), সুইহারী এলাকার মৃত মোবারক আলীর ছেলে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আজগার আলী (৫৫), শেখপুরা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুরের ইদ্রিস আলীর ছেলে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিনুর ইসলাম (৪০),
ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চোপাগাড়ী গ্রামের ইউনুস আলী মন্ডলের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫০) ও একই ইউনিয়নের করনিজ দীঘিপাড়া গ্রামের মৃত ছবির আলী প্রধানের ছেলে ৮নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক দিলজার রহমান (৪৮), বিরামপুর উপজেলার ১নং মুকুন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, সহসম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, ৭নং পলিপ্রয়োগপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজ মন্ডল, ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোষ্ট মোহন চৌধুরী, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস ছগির, নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান অন্যতম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ল গ র সদস য এল ক র ম ত র ল ইসল ম র রহম ন উপজ ল র ইউন
এছাড়াও পড়ুন:
উদীচীর সভাপতি বদিউর রহমান ও সহসভাপতি মাহমুদ সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা এক পক্ষের
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সহসভাপতি মাহমুদ সেলিমকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে একটি পক্ষ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক বদিউর রহমান। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে আগামী ২০ জুন উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের ‘অসমাপ্ত ও অসম্পূর্ণ নির্বাচনী অধিবেশন’ আহ্বান করেন তিনি। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বদিউর রহমান বলেছিলেন, বর্তমানে উদীচীর কোনো বৈধ পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় সংসদ নেই। কেন্দ্রীয় সংসদের এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য ওই অধিবেশন আহ্বান করছেন তিনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় আজ উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করে বদিউর রহমান ও মাহমুদ সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনের একটি পক্ষের নেতারা। গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি উদীচীর তিন দিনব্যাপী ২৩তম জাতীয় সম্মেলন হয়। সম্মেলনের শেষ দিনে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষ তৈরি হয়। দুটি পক্ষই আলাদা করে দুটি কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে। উভয় পক্ষে অধ্যাপক বদিউর রহমানকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে এক পক্ষে জামসেদ আনোয়ার তপন এবং আরেক পক্ষে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দের নাম ঘোষণা করা হয়।
জামসেদ আনোয়ার তপন আজ বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে উদীচীর সভাপতি বদিউর রহমান ও সহসভাপতি মাহমুদ সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উদীচীর আজকের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক এ ব্যবস্থার বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে।
এই দুজনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে উল্লেখ করে জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, সংগঠনবিরোধী তৎপরতার অভিযোগে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বদিউর রহমান, মাহমুদ সেলিম ও অমিত রঞ্জন দের নেতৃত্বে উদীচীর নামে অননুমোদিত যে তৎপরতা চলছে, তা উদীচীর মতো সংগঠনে ঐক্যের বদলে তিক্ত পরিস্থিতি তৈরি করবে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তৈরি করবে বিভ্রান্তি। তাই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন বলেও আশা করা হয়।
আরও পড়ুন২০ জুন উদীচীর ২৩তম সম্মেলনের ‘অসম্পূর্ণ নির্বাচনী অধিবেশন’ আহ্বান২০ মে ২০২৫সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হাবিবুল আলম, জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, ইকরামুল কবির ইল্টু, মকবুল হোসেন, মোতালেব হোসেন ও বুলবুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।