সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, সংস্কার অর্থবহ করতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আর জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের একমাত্র পথ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটুকু করে নির্বাচন দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন।

আজ রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এগারো দলের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। তাই এরশাদের পতনের পরে যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলো আচরণবিধি তৈরি করেছিল, সেভাবে বর্তমানেও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি আচরণবিধি করতে হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং রাজনীতির গতিধারা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন তারা। তিনি বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। দেশের ভেতরে-বাইরে হওয়া নানা ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারলে রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ হ দ ল ইসল ম স ল ম র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘সংস্কারের বাইরে ড. ইউনূসকে যারা নামাতে চান, তারা দিল্লির রাজনীতি করেন’

সংস্কারের বাইরে ড. ইউনূসের সরকারকে যারা নামাতে চান, তারা এদেশের রাজনীতি করেন না; তারা দিল্লি ও ‘র’ এর রাজনীতি করেন। তারা দেশ, জনগণ ও মানবতার শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত কোনো অবস্থাতেই চায় না ড. ইউনূস সরকার বাংলাদেশের গদিতে থাকুক। ভারত সরকার কোনোভাবেই তাকে মেনে নিতে পারে না। ইউনূস সরকার ভারতের গোলামী থেকে আমাদেরকে মুক্তি করার চেষ্টা করছে। ভারতের গোলামী থেকে বের হওয়ার হাজারো চেষ্টা তিনি চালাচ্ছেন। এটি ভারত কোনো অবস্থাতেই সহ্য করতে পারছেন না। এজন্য ‘র’ আমাদের দেশের কিছু মানুষের ওপর সওয়ার করে ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে তারা ইউনূস সরকারকে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করতে চাচ্ছে। এ দেশের জনগণ সচেতন। কোনো অবস্থাতেই ‘র’ এর ফাঁদে এদেশের জনগণ পা দেবে না।’’

শনিবার (২৪ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের জেলা কার্যালয়ে দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি বিএনপির

যমুনায় এনসিপির প্রতিনিধি দল

করিডর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের কোনো প্রেসক্রিপশন আমাদের দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করবে না। যদি মানবিক করিডোর ভারতের পক্ষে হয়, আমরা নাই। যদি দেশের পক্ষে হয়, আমরা আছি। আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে কাজ করব, আমরা ভারতের স্বার্থে কাজ করব না। ভারত যতটুকু আমাদের স্বার্থ দেখবে, আমরাও ততটুক তাদের স্বার্থ দেখব। একতরফা ভারত কোনো স্বার্থ পাবে না, সুবিধাভোগ করতে পারবে না। আমাদেরকে সুবিধা দেবে, আমরাও সুবিধা দেব। আমাদেরকে সুবিধা দেবে না, আমরাও তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করব।’’

ঢাকা/লিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা, না দেশের ব্যর্থতা
  • ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান
  • জাতীয় কবির সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
  • দ্রুত নির্বাচনই রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ: ওয়ার্কার্স পার্টি
  • কোনো দল নয়, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ড. ইউনূসকে এনসিপির আহ্বান
  • নির্বাচন ও সংস্কারের ‘রোডম্যাপ’ দরকার: যমুনা থেকে বেরিয়ে জামায়াতের আমির
  • সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের আশা পূরণ হবে না: জামায়াত আমির
  • সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের আশা পূরণ হবে না
  • ‘সংস্কারের বাইরে ড. ইউনূসকে যারা নামাতে চান, তারা দিল্লির রাজনীতি করেন’