বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. কুদরত-ই-জাহান। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. কুদরত-ই-জাহানকে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছর মেয়াদে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময় তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য পদসংশ্লিষ্ট সুবিধা ভোগ করবেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান বাধ্যতামূলক থাকবে।

অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান ২০০৪ সালে প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ২০১০ সালে জাপান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়াও তিনি রাবির সিন্ডিকেটের সদস্যও ছিলেন।

অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান বলেন, 'আমায় ভরসা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।'

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক দরত ই জ হ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীর ২২ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। 

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলার উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই মসজিদে অনুষ্ঠিত নামাজে সবেচেয়ে বেশি মুসল্লি অংশ নেন। 

এছাড়া, পটুয়াখালী সদর উপজেলার চার, কলাপাড়ার আট, রাঙ্গাবালির দুই, গলাচিপার তিন, দুমকির দুই ও বাউফল উপজেলার তিন গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসব গ্রামের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে যমুনা সেতু সড়‌কে যানবাহন চলছে থেমে থেমে

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়

এলাকাবাসী জানান, প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছেন এসব গ্রামের মানুষ। তারা স্থানীয়ভাবে চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়া তুহিন কাজী বলেন, “সন্তানকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। পশু কোরবানি করেছি। নামাজের পরে বিশেষ মোনাজাতে পরিবারের সবার রোগ মুক্তি কামনা এবং প্রতিবেশীসহ সবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি।” 

উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে জামাতে অংশ নেওয়া ৮০ বছর বয়সী আবদুল গনি মিয়া বলেন, “আমি ছোট থেকেই পৃথিবীর যে কোনো দেশে ঈদের চাঁদ দেখার পরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি। আমার বাবাও তাই করতেন।”

বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদের ইমাম সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ মাদানী বলেন, “আমরা ঈদের নামাজ পড়ে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব মুসল্লির শান্তি কামনায় দোয়া করেছি।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ