আমি চাইনা বিএনপির কোন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক : সাখাওয়াত
Published: 1st, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে। তার জন্য আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আর বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা দ্বারা জনগণ কষ্ট পায় এমন কিছু করা যাবে না।
আমাদের ভুলের কারণে যদি আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতা না আসে তাহলে কিন্তু আমাদেরকে সেই একই ভাবে আবারও হামলা মামলা, জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আমরা চাই বিএনপি নেতাকর্মীদের গুণগত পরিবর্তন।
গত দশ মাসে অনেকে অনেক কিছু করেছেন তার জন্য দলের অনেক বদনাম হয়েছে। সে সকল নেতাকর্মীদেরকে বলে দেবো আজ থেকে শেষ দিন এরপরে আর কোন দলের বদনাম হয় এমন কিছু করা যাবে না। আপনাদের সবাইকে আগে দেশ ও দলের স্বার্থ দেখতে হবে।
কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি দিনরাত দেশ ও দেশের জনগণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উনি যে কষ্ট করে আমাদের জন্য যদি নিজেদের কিছু ভুলের কারণে সেগুলোকে নষ্ট করে ফেলি তাহলে উনার কষ্টের কি মূল্য রইল।
একটি কত পরিষ্কার করে বলতে চাই আমি চাইনা বিএনপির কোন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক। যদি বিএনপি'র কোন থেকে নেতা গ্রেপ্তার হয় তাহলে সর্বপ্রথম কষ্ট পাবো আমি। যদি বিএনপির কোন থেকে নেতা অন্যায় করে তা হলো আমি সেটাও কষ্ট পাবো। সুতরাং আমরা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আগামী দিনে পথ চলব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল শহরের পাইপাড়া জয়গোবিন্দ স্কুল মাঠে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, গত ১৭টি বছর এই ১৭নং ওয়ার্ডের কি অবস্থা ছিল তা আপনারা জানেন অনেকেই কিন্তু আমাদের কাছে বিচার দিয়েছেন। বিচার দিয়েছেন যে বাবুর লোকজন এই করেছে সেই করেছে হামলা করেছে মামলা দিয়েছে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে নির্যাতন করেছে।
যদি আমরা তার মত আচরণ করি তাহলে কি হবে। আমরা চাই আমাদের ভুলের কারণে নারায়ণগঞ্জ মানুষের শত্রু হলো সন্ত্রাসী শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, আব্দুল করিম বাবুসহ যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল ।
তারা জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে। আমরা যদি তাদের মতন করি তাহলে তাদেরকে যেমন মানুষ ঘৃণা করে আমাদেরকে ঠিক একই ভাবে কিনা করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম যারা বিএনপির নেতাকর্ম ও বিএনপিকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে তাদেরকে সদস্য করতে হবে। সরকারি বেসরকারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রয়েছে তারা যদি সদস্য হতে চায় তাহলে তাদেরকে সদস্য ফরম দিতে হবে।
আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদেরকেও সদস্য করতে হবে। নিজের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে কিন্তু দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গ্রুপিং করে দলের কোনো ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেনো বাদ না পড়ে।
কারন আমরা দল করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সুতরাং আমাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্তকে মানতে হবে।
মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এড. কাজী রুবায়েত হোসেন সায়েম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিন শিপলু, বিএনপি, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান রাব্বি, প্রচার সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. স্বপন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম ব এনপ র ক ন ব এনপ র স র ব এনপ র ন ত কর ম আম দ র ম দ রক র জন য সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।