নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে। তার জন্য আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আর বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা দ্বারা  জনগণ কষ্ট পায় এমন কিছু করা যাবে না।

 আমাদের ভুলের কারণে যদি আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতা না আসে তাহলে কিন্তু আমাদেরকে সেই একই ভাবে আবারও হামলা মামলা, জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আমরা চাই বিএনপি নেতাকর্মীদের গুণগত পরিবর্তন। 

গত দশ মাসে অনেকে অনেক কিছু করেছেন তার জন্য দলের অনেক বদনাম হয়েছে। সে সকল নেতাকর্মীদেরকে বলে দেবো আজ থেকে শেষ দিন এরপরে আর কোন দলের বদনাম হয় এমন কিছু করা যাবে না। আপনাদের সবাইকে আগে দেশ ও দলের স্বার্থ দেখতে হবে। 

কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি দিনরাত দেশ ও দেশের জনগণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উনি যে কষ্ট করে আমাদের জন্য যদি নিজেদের কিছু ভুলের কারণে সেগুলোকে নষ্ট করে ফেলি তাহলে উনার কষ্টের কি মূল্য রইল। 

একটি কত পরিষ্কার করে বলতে চাই আমি চাইনা বিএনপির কোন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক। যদি বিএনপি'র কোন থেকে নেতা গ্রেপ্তার হয় তাহলে সর্বপ্রথম কষ্ট পাবো আমি। যদি বিএনপির কোন থেকে নেতা অন্যায় করে তা হলো আমি সেটাও কষ্ট পাবো। সুতরাং আমরা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আগামী দিনে পথ চলব। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল শহরের পাইপাড়া জয়গোবিন্দ স্কুল মাঠে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, গত ১৭টি বছর এই ১৭নং ওয়ার্ডের কি অবস্থা ছিল তা আপনারা জানেন অনেকেই কিন্তু আমাদের কাছে বিচার দিয়েছেন। বিচার দিয়েছেন যে বাবুর লোকজন এই করেছে সেই করেছে হামলা করেছে মামলা দিয়েছে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে নির্যাতন করেছে।

যদি আমরা তার মত আচরণ করি তাহলে কি হবে। আমরা চাই আমাদের ভুলের কারণে নারায়ণগঞ্জ মানুষের শত্রু হলো সন্ত্রাসী শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, আব্দুল করিম বাবুসহ যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল ।

তারা জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে। আমরা যদি তাদের মতন করি তাহলে তাদেরকে যেমন মানুষ ঘৃণা করে আমাদেরকে ঠিক একই ভাবে কিনা করবে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম যারা বিএনপির নেতাকর্ম ও বিএনপিকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে তাদেরকে সদস্য করতে হবে। সরকারি বেসরকারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রয়েছে তারা যদি সদস্য হতে চায় তাহলে তাদেরকে সদস্য ফরম দিতে হবে।

আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদেরকেও সদস্য করতে হবে। নিজের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে কিন্তু দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গ্রুপিং করে দলের কোনো ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেনো বাদ না পড়ে।

কারন আমরা দল করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সুতরাং আমাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্তকে মানতে হবে। 

মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এড. কাজী রুবায়েত হোসেন সায়েম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিন শিপলু, বিএনপি, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান রাব্বি, প্রচার সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. স্বপন প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম ব এনপ র ক ন ব এনপ র স র ব এনপ র ন ত কর ম আম দ র ম দ রক র জন য সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,“ইদানিং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করেছেন।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা সেই ক্যাম্পেইন থেকে সরে আসতে তারা বাধ্য হয়েছে।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এনসিপির কৃষিবিদ উইং এর আয়োজনে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ খেয়াল করেছি

এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়ল

তিনি বলেন, “আমরা যখন কৃষি কৃষক নিয়ে কথা বলছি তখন বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুটি দলের অবস্থান খুবই ভয়ঙ্করভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। দুইটা বড় দল কৃষকের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য জনগণকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার সেটাকে গৌণ করে ফেলছে। আবার আরেকটি দল আলু না গণভোট স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকেরা পাচ্ছেন না সেটাকে তারা গৌণ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট দুটাই একই সঙ্গে সমান্তরালে গুরুত্বপূর্ণ।”

আখতার হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল নিজেদের জায়গা থেকে মন্তব্য করছেন সেটাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ গণভোট এবং পরবর্তী সংসদকে ক্ষমতা প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছি।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণভোটের রায় বাধ্যতামূলক হবে কি না? গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না? সে প্রশ্ন যারা করছেন তারা কিন্তু শিক্ষিত মানুষ। তারা এটাও জানেন যে পৃথিবীর অনেক দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর গণভোটের মধ্য দিয়ে সেই সংবিধানকেই পাস হতে হয়। যদি সেই গণভোটের সংবিধান পাস না হয় তাহলে সেটা সংবিধান হিসেবেই গৃহীত হয় না।” 

তিনি আরো বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার যে আদেশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনেকগুলো জায়গাতে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মতিগতির ওপর অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের বস্তু দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন,“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখব অতিদ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের অস্পষ্টতাগুলো দূরীকরণ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে বাংলাদেশে যেন একটি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রাস্তায় তৈরি করবেন।”

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও কৃষিবিদ উইং এর নেতারা।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
  • ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটিতে সায় নেই মানুষের
  • ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • ‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’
  • গণভোট ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করবে: রিজভী
  • নেতারা বলবেন, জনতা শুনবে—এই সংস্কৃতি বদলাতে চায় মানুষ: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার 
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে : কম. সাঈদ
  • শামীম ওসমান দিনের পর দিন না’গঞ্জবাসীর সাথে  প্রতারণা করেছে: কম. সাঈদ
  • শহরে মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিশাল গণমিছিল