আট দফা দাবিতে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বরে আগামী সোমবার শ্রমিক মহাসমাবেশ করবে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এরপরও দাবি বাস্তবায়িত না হলে ২৬ জানুয়ারি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ২টায় সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকায় এক জরুরি সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়। সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ৭০৭ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.

জাকারিয়া আহমেদ। জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ৭০৭ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ছয়টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা মো. শাহাব উদ্দিন আহমেদ, মো. ইকবাল হোসেন, মানিক খান, মো. জিলু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, কাওছার আহমেদ, মো. মন্নান মিয়া, আলতাব চৌধুরী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী আইন অবিলম্বে বাতিল; ট্রাফিক পুলিশসহ অন্যান্য পুলিশের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে যানবাহনে মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সব সেতুর টোল বিশেষ করে এম এ খান লামাকাজি সেতুর টোল আদায় বন্ধ করার দাবি উল্লেখযোগ্য।

এ ছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস করে ২০২৩ সালে প্রণীত গেজেট বাতিল; সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া ও সিলেটের সব সিএনজিচালিত যানবাহনের গ্যাস লোডে দীর্ঘসূত্রতার সমাধান দেওয়া এবং সিলেটের পরিবহনে সব শ্রমিকনেতা ও শ্রমিকদের ওপর করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সিলেটে সব লোড ট্রাক আটকে চালকদের হয়রানি বন্ধ করার দাবিও জানানো হয়।

অন্য দাবিগুলো হলো প্রশাসনের লোক ছাড়া কেউ যেন লোড ট্রাক না আটকায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া এবং হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন থেকে সিলেট জেলায় পরিবহনশ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/নূর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়

সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়। 

রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।

জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।

বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ