পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা তুলে ধরেন।

তিনি জানান, এই উদ্যোগ ভ্রমণ ও সংযোগ সহজতর করার পাশাপাশি পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

হাইকমিশনার আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে।

তিনি বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে, যা দেশের মুক্ত মতামত প্রকাশের সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।

এছাড়া তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং ব্যবসায়ীদের এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

হাইকমিশনার আরও জানান, পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও করাচি বন্দর ব্যবহার করে জাহাজপথে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলছে। যদিও এর পরিমাণ এখনও তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

মদ্যপ পর্যটককে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করল ব্যবসায়ীরা

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অতিরিক্ত মদপান করে গোসলে নেমে ডুবে যাওয়া এক পর্যটককে উদ্ধার করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। 

সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সৈকতের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পর্যটকের নাম সোহেল রানা (৪০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় ওই পর্যটক সৈকতে আসেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করনে। কিন্তু তিনি সমুদ্রে নেমে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই তাকে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে দেখে এক ফটোগ্রাফার, ভ্যানচালক এবং মোটরসাইকেল আরোহী তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। তারা ওই পর্যটককে উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

মাতামুহুরী নদীর তীরে মিলল পর্যটকের লাশ, এখনো নিখোঁজ ২

জাফলংয়ে নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু

কুয়াকাটা সৈকতের ভ্যানচালক মো. শুক্কুর বলেন, ‘‘সৈকতে এসেই ওই পর্যটক মাতলামি করছিল। পরে সে দৌড়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাই সে সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করি।’’

উদ্ধারকারী সৈকতের ফটোগ্রাফার রাকিব হোসেন বলেন, ‘‘সে প্রচুর পরিমানে মদ খেয়েছে। ফলে নিজের নামও বলতে পারছিল না। আমরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছি। কিন্তু শোনেনি।’’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘ওই পর্যটককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি সৈকতে মদ্যপান ও অসচেতন আচরণ বন্ধে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ