গ্রামীণফোনের অফিসের সামনে চাকরিচুত্যদের অবস্থান ধর্মঘট
Published: 4th, February 2025 GMT
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে এবং ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল ও মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে জিপি হাউসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুতরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ সময় তাদের ‘ন্যায্য পাওনা আদায় চাই, কারও দয়া নয়’, ‘জিপি ম্যানেজমেন্টের দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, গ্রামীণফোন কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং আগে কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই খেয়ালখুশি মতো অবৈধভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। হঠাৎ করে ই-মেইল পাঠিয়েও এক দিনেই অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো.
চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মদ্যপ পর্যটককে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করল ব্যবসায়ীরা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অতিরিক্ত মদপান করে গোসলে নেমে ডুবে যাওয়া এক পর্যটককে উদ্ধার করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সৈকতের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পর্যটকের নাম সোহেল রানা (৪০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় ওই পর্যটক সৈকতে আসেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করনে। কিন্তু তিনি সমুদ্রে নেমে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই তাকে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে দেখে এক ফটোগ্রাফার, ভ্যানচালক এবং মোটরসাইকেল আরোহী তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। তারা ওই পর্যটককে উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
মাতামুহুরী নদীর তীরে মিলল পর্যটকের লাশ, এখনো নিখোঁজ ২
জাফলংয়ে নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
কুয়াকাটা সৈকতের ভ্যানচালক মো. শুক্কুর বলেন, ‘‘সৈকতে এসেই ওই পর্যটক মাতলামি করছিল। পরে সে দৌড়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাই সে সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করি।’’
উদ্ধারকারী সৈকতের ফটোগ্রাফার রাকিব হোসেন বলেন, ‘‘সে প্রচুর পরিমানে মদ খেয়েছে। ফলে নিজের নামও বলতে পারছিল না। আমরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছি। কিন্তু শোনেনি।’’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘ওই পর্যটককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি সৈকতে মদ্যপান ও অসচেতন আচরণ বন্ধে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
ইমরান//