ড. কামালের সেই চিঠি: আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ অতিবিশ্বাস ও আত্মম্ভরিতা
Published: 13th, March 2025 GMT
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অপ্রত্যাশিত পরাজয় ঘটে। দলের নেতা-কর্মীরা ভাবতেই পারেননি, বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। ভোটের পর দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নেতাদের মধ্যে অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, তৃণমূল কর্মীদের অবমূল্যায়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। অন্যদিকে ১২ ও ১৩ মার্চ ওয়ার্কিং কমিটির সভায় দলীয় সভানেত্রী বরাবর ১২ পৃষ্ঠার দীর্ঘ চিঠি লেখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.
দীর্ঘ ৩৪ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে—এমন ধারণা রাজনৈতিক মহল, ভোটার ও অনেক মানুষের মধ্যে ছিল। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে বিজয়ী হয় আপসহীন নেত্রীখ্যাত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি; যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন, সেই আলোচনা ভোটের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন মিরপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থী হারুন মোল্লার কাছে পরাজিত হন।
ড. কামাল হোসেনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।