পায়রা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের
Published: 15th, April 2025 GMT
পুকুরে ডুবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে তাঁরা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভে সেতুর দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দেখা দেয় ভোগান্তি।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে পবিপ্রবি–সংলগ্ন জনতা কলেজের পুকুরে আশিক তাঁর কয়েকজন বন্ধুসহ গোসল করতে যান। এ সময় তিনি পানিতে ডুবে যান। আশিককে উদ্ধার করে প্রথমে দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ বিক্ষোভ চলাকালে মৃত আশিকের বন্ধু সাকিব ও রুম্মন বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার ৪৫ মিনিট পর একজন চিকিৎসক আশিককে দেখতে আসেন। দ্রুত চিকিৎসা না দেওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মেডিসিন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স রোগীর অসুস্থতা নিয়ে উদাসীন ছিলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে যথাযথা ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আশিকের মৃত্যুর পর পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম আল আজাদ। তাঁর দাবি, সোমবার বিকেলে ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্সের ফোন কল পেয়ে তিনি দ্রুত ছুটে আসেন। দীর্ঘক্ষণ পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে অক্সিজেনের অভাবে আশিক মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা
টলিউডের গুণী পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারীনিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে ‘মহিলা কমিশনের’ দ্বারস্থ হন এক নারী অভিনয়শিল্পী। এর জের ধরে ডিরেক্টর্স গিল্ড অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে ব্যাপারটি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। এটি গত বছরের ঘটনা।
অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারী অভিনেত্রী মুখ খোলায় খুশি হয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। কয়েক দিন আগে এসব বিষয়ে মন্তব্য করেন অরিন্দম শীল। ফের তার বিষয়ে সরব হলেন ঠোঁটকাটা স্বভাবের স্বস্তিকা।
প্রথমে অরিন্দম শীলকে নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না স্বস্তিকা। অবশ্য পরে কথা বলেন। নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেন, “অরিন্দম শীলের বিষয়ে এতজন নারী এগিয়ে এসেছেন, তারা কোনো না কোনো সময় হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাদের কাছে সুযোগ নেওয়া হয়েছে। আইনিভাবে কী হয়েছে বা কী হবে, সেটা যাই হোক না কেন, ওই মহিলাগুলোর কথা তো আর মিথ্যা না।”
আরো পড়ুন:
চুমু না খেয়েও প্রেমের মুহূর্ত বোনা যায়: শ্রাবন্তী
বাগদান সারলেন ঋতাভরী
খানিকটা ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “ভুক্তভোগী নারীরা পাবলিক ফোরামে অভিযোগ জানিয়েছেন, থানায় কিংবা আর্টিস্ট ফোরামে। তাদের আমরা সকলেই চিনি, তারা নিয়মিত কাজ করছেন। আর অরিন্দম শীলের সম্পর্কে ভালো কথা বলতে কোনোদিনও কাউকে শুনিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে হয়ত অনেকেই আছেন, যারা অরিন্দম শীলের সামনে ভালো কথা বলেন। তবে পিছন ঘুরলেই ওকে গালাগাল দেয়। আমি কখনো শুনিনি ওকে নিয়ে কেউ ভালো কথা বলেছেন।”
২০২০ সালেও অরিন্দমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্র। ওই সময়ে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন— ‘অরিন্দম শীল অত্যন্ত বদমাশ, বদ লোক।’
টলিউডের গুণী অভিনেতা অরিন্দম শীল। ১৯৯৯ সালে ‘তুমি এলে তাই’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। একই বছর তিনি আরো তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।
তার আরেক পরিচয় তিনি একজন পরিচালক ও প্রযোজক। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালকের খাতায় নাম লেখান এই অভিনেতা। অভিনয়ে যেমন তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন তেমনি ‘এবার শবর’, ‘হর হর ব্যোমকেশ’, ‘স্বাদে আহ্লাদে’, ‘ঈগলের চোখ’ তৈরি করেও নির্মাতা হিসেবে জাত চিনিয়েছেন অরিন্দম শীল।
ঢাকা/শান্ত