নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ২২ জুন পর্যন্ত আবেদন করার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) আবেদন জমা দেওয়ার সময় শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘‘২২ জুন পর্যন্ত দলগুলোর আবেদন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’’

এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সময় বাড়ানোসহ একগুচ্ছ দাবি জানায়।

আরো পড়ুন:

আইসিসি ঘোষিত সেরা একাদশে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

ওয়ানডেতে দুই বলের খেলার শর্ত পরিবর্তনের কথা ভাবছে আইসিসি

এদিকে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ জানান, ২০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। সাতটি দল ইসি নির্ধারিত ফরমে এবং তিনটি দল দলীয় প্যাডে আবেদন করেছে।

জানা গেছে, নতুন বাংলা, সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট, আমজনতার দল, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, লেবার পার্টি বাংলাদেশ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ গ্রিন ইনভারমেন্ট পার্টি, আমার দেশ আমার অধিকার পার্টি (এনডিএপি), বাংলাদেশ গণ মুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ একুশে পার্টি, গণ অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি (ডিসিপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ আ-আমজনতা পার্টি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ রক্ষণশীল দল (বিসিপি), জনতা কংগ্রেস পার্টি, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএমএলপি), বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি ও বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা) নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সময় ব ড়

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ