সেবা খাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি (২০২৫) গঠন করা হয়েছে।

এতে সভাপতি পদে দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার আবির হাকিম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি হোটেলে বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের ভোটগ্রহণ শেষে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন:

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোজাফফর, সম্পাদক নিপু

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মুসা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার নিলয় মামুন, অর্থ সম্পাদক পদে দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার একলাছ হক এবং দফতর ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দৈনিক আমার দেশের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র রিপোর্টার তোফাজ্জল হোসেন কামাল, ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসিফ মাহমুদ শাহ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার ওবায়দুর মাসুম এবং দৈনিক আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।

সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুরার বিদায়ী সভাপতি ওবায়দুর মাসুম এবং সঞ্চালনা করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা।

এ সময় উপস্থিত অতিথি এবং সদস্যরা ডুরার ম্যাগাজিন ‌‘এই ঢাকা' এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‌“এ কমিটির প্রত্যেক সদস্য দেশের প্রথমসারির গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমি আশা করি আগামী এক বছর ডুরার সদস্যরা এ সংগঠনটিকে অনেক অগ্রসর করবেন। একই সঙ্গে সংবাদ এবং সাংবাদিকদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।”

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধের ভিডিও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, করণীয় কী?

‘মানুষ যখন অনিচ্ছাকৃত পরিবর্তন অনুভব করে, তখন মনে হয় সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’—কথাগুলো বলেছেন আমেরিকান ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং ট্রমা বিশেষজ্ঞ লরা এস. ব্রাউন।  বর্তমানে মিডিয়ার কল্যাণে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধের ভয়াবহতার ছবি, ফুটেজ অহরহ আমাদের সামনে আসছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধবিদ্ধত গাজা উপত্যকার প্রকৃত অবস্থাও আমরা মিডিয়ার কল্যাণে দেখছি, জানছি। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখে দেখে আপনার মনে হতে পারে মানুষগুলো বুঝি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মনে হতে পারে, স্বাধীনতা যেকোনো সময় বিপদগ্রস্ত হতে পারে। এসব ভাবনা আপনাকে ভীত করে তুলতে পারে। যুদ্ধের ভয়াবহতার প্রভাব আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করতে পারে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় জেনে নিন।

মন নিয়ন্ত্রণ করুন: পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই ঘটছে যেগুলোই চাইলেই আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না। কিন্তু নিজের মনের যত্ন নেওয়া আপনার দায়িত্ব। মানবিক বিপর্যয় ঘটার ঘটনাগুলো যখন আপনাকে অস্থির করে তুলছে তখন আপনি মানবিক সেবার জন্য ছোট ছোট উপায় খুঁজে নিতে পারেন। আপনার চারপাশের অভাবগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা দিতে পারেন। আত্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে নিয়মিত হাঁটতে পারেন। সময় মতো ঘুমাতে পারেন। দিনের একটি ভাগ প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর উপায় খুঁজে নিতে পারেন। প্রিয়জন দূরে থাকলে ট্রেক্সট, ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।  এই সময় পছন্দের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। প্রিয় গান শুনতে পারেন। প্রার্থনা করতে পারেন। তাহলে প্রাণবন্ত থাকতে পারবেন, শান্ত থাকার উপায়ও খুঁজে পেয়ে যেতে পারেন। 

মিডিয়া এক্সপোজার সীমিত করুন: মানুষ যত বেশি ট্র্যাজেডি সম্পর্কে জানে তত বেশি মানসিক চাপ এবং মোকাবিলা করতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হামলার সংবাদ মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শারীরিক অনেক সমস্যা তৈরি হয় এই প্রভাবে। আপনি কতক্ষণ নিউজ পড়বেন, কোন কোন মিডিয়ার নিউজ পড়বেন বা দেখবেন তা ঠিক করুন। হামলার মতো ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখার চেয়ে হামলা সম্পর্কে পড়া কম কষ্টকর মনে হতে পারে।  

আরো পড়ুন:

জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ

সূর্যের আলো সরাসরি শরীরে পড়লে শরীরে যা ঘটে

বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে খবর খুঁজুন: সামাজিক মিডিয়ার খবর অবিশ্বাস্য, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা চাঞ্চল্যকর হতে পারে, ইংল্যান্ডের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের একজন এমেরিটাস অধ্যাপক বলেছেন, ‘‘ ব্রেকিং নিউজে দেখা ঘটনাগুলো মনের ওপর তীব্র চাপ ‍সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার তৈরি হতে পারে।’’ 

সূত্র: আমেরিকান সাইক্লোজি অ্যাসোসিয়েশন অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ