ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে ইসহাক দারের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ফোন
Published: 6th, May 2025 GMT
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
সোমবার (৬ মে) ঢাকাস্থ পাকিস্তানি হাইকমিশন তাদের ভেরিফায়েড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হাই কমিশন জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং একতরফা পদক্ষেপের ফলে উদ্ভূত আঞ্চলিক উত্তেজনা, বিশেষ করে সিন্ধুর পানি চুক্তির ধারাগুলো স্থগিত করার স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
উভয় পক্ষই পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আলোচনা করেন।
ঢাকা/হাসান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পাবেন পুরস্কার
যুক্তরাষ্ট্রের নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে নিজ দেশে ফেরত যেতে চান, তাদের প্রত্যেককের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। সূত্র : আলজাজিরা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে ১ হাজার ডলার করে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই ১ হাজার ডলারের বাইরে নিজ দেশে ফেরার জন্য আলাদা অর্থ দেওয়া হবে তাদের এবং সিবিপি অ্যাপের মাধ্যমে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী জানাবেন যে তারা নিজ দেশে ফিরতে চান, তাদেরকে বন্দিশালায় রাখা হবে না কিংবা বলপ্রয়োগ করা হবে না।
সোমবারের বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম নথিবিহীন অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা যারা অবৈধভাবে এই দেশে বসবাস করছেন, তাদের জন্য স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়া হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ঠ, সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সাশ্রীয় পন্থা। যারা এই পন্থ অবলম্বন করতে আগ্রহী— তাদেরকে সিবিপি হোম অ্যাপের মাধ্যমে ১ হাজার ডলার সহায়তা ও ও তাদের যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে চান— তাদেরকে অর্থ সহায়তা ও যাতায়াত ব্যয় সরবরাহ করা হলেও সেটি হবে অনেক সাশ্রয়ী। কারণ বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান, বন্দিশালা ও তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রত্যেক অভিবাসীর পেছনে মাথাপিছু গড়ে ১ হাজার ৭০০ ডলার ব্যয় হচ্ছে।
গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তিনি এই আদেশে স্বাক্ষর করার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে অভিযান শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সংখ্যা অবশ্য তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের চেয়ে কম। কারণ পরিসংখ্যাণ বলছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন যে যেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাদের ফের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, “তাদের মধ্যে যারা ভালো এবং বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা অবশ্যই সহায়তা করব।”