নৌবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, সাঁতার জানা আবশ্যক
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বি-২০২৫ ব্যাচে টেকনিক্যাল শাখায় ডাইরেক্ট এন্ট্রি সেইলরস ফর ডকইয়ার্ড পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য প্রার্থীদের সাঁতার জানা আবশ্যক।
১. শাখার নাম: ইঞ্জিনিয়ারিং
পদের নাম: ডিই/এমই-২
পদসংখ্যা: ৫ জন
২.
পদের নাম: ডিই/এমই-২(এস)
পদসংখ্যা: ৫
৩. শাখার নাম: অর্ডন্যান্স
পদের নাম: ডিই/ইএন-২ (অর্ডন্যান্স)
পদসংখ্যা: ৫ জন
৪. শাখার নাম: ইলেকট্রিক্যাল
পদের নাম: ডিই/ইএন-২
পদসংখ্যা: ১০
৫. শাখার নাম: রেডিও ইলেকট্রিক্যাল
পদের নাম: ডিই/আরইএন-২
পদসংখ্যা: ৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমানসহ সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ছয় মাসের ট্রেড কোর্সধারী অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এসএসসি (ভোকেশনাল)। ন্যূনতম জিপিএ–৩.০০।
অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ছয় মাসের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ২০২৫ সালের ১ জুলাই তারিখে ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত/ অবিবাহিত।
শারীরিক যোগ্যতা: সব পদের জন্য।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
বুকের মাপ: স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি
ওজন: বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী।
চোখের দৃষ্টি: ৬/৬।
আবেদনে অযোগ্যতা
বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশে প্রচলিত আইন ও বিধির অধীন গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত, বন্দী, আটক অথবা কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কোনো বিচারালয়ে বিচারাধীন থাকলে। সশস্ত্র বাহিনী অথবা সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত/বহিষ্কৃত হলে। দ্বৈত নাগরিকত্ব। সশস্ত্র বাহিনীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ চলাকালীন স্বেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করলে।
যেভাবে অনলাইনে আবেদন
আবেদনকারী প্রার্থীকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অ্যাপ্লাই নাউ/চেক নাউ অপশনে ক্লিক করে প্রথমেই প্রার্থীকে ওয়েবসাইটে সাইনআপ/সাইনইন করে প্রাক্যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। নাবিকের শাখাভিত্তিক চাকরির দায়িত্ব ও কর্তব্য জেনে অ্যাপ্লাই নাউ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রার্থীকে ব্যাংকিং/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। যেকোনো ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩০০ টাকার (অফেরতযোগ্য) আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর নির্দেশনা অনুসরণ করে সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। পূরণকৃত ফরমটি সঠিক আছে কি না, পুনরায় যাচাই করে সব তথ্য সঠিক থাকলে ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘নাবিক-২’ ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে পরবর্তী সময় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট কেন্দ্রে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী উক্ত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করতে ব্যর্থ হন, তবে ওয়েবসাইটে পুনরায় সাইনইন করে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ মে ২০২৫।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাইরোবিতে উইকিপিডিয়ার সম্মেলনে যাচ্ছেন ৫ বাংলাদেশি তরুণ
এ বছর উকিপিডিয়ানদের নিয়ে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে উইকিম্যানিয়া ২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ও পূর্ণ স্কলারশিপে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান।
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত উইকিমিডিয়ানদের নিয়ে নিজস্ব খরচে এ সম্মেলনের আয়োজন করে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন।
আগামী ৬ থেকে ৯ আগস্ট কেনিয়ার নাইরোবিতে বার্ষিক সম্মেলন ও উইকিম্যানিয়ার ২০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সংস্করণও থাকবে। এ সম্মেলনে যোগ দিতে পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান ইতোমধ্যে কেনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।
পাঁচ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান হলেন, বগুড়ার মাসুম আল হাসান রকি, ময়মনসিংহের দোলন প্রভা, বরগুনার মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, চাঁদপুরের দেলোয়ার হোসাইন ও আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি মো. জিল্লুর রহমান।
গত বছর অন্তত ১৪০ দেশের ২ হাজারের বেশি উইকিমিডিয়ান অংশ নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সেই সংখ্যা আরো বাড়বে। সম্মেলনের কনফারেন্স টিম উইকিপিডিয়ার নতুন প্রযুক্তি, ফিচার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরছে। অংশগ্রহণকারীরাও মতামত দিচ্ছেন সরাসরি।
এবারের সম্মেলনে বাংলাভাষী উইকিমিডিয়ানদের উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তুলে ধরা হচ্ছে ‘বাংলা উইকিমৈত্রী’ ও ‘উইকি ভালোবাসে রমজান’ প্রকল্পের সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা। এসব প্রকল্পে সম্মিলিতভাবে বাংলা উইকিপিডিয়াকে আরো তথ্যসমৃদ্ধ করা হয়েছে, তুলে ধরা হয়েছে রমজান মাসের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ভবিষ্যতে আরো বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক সম্প্রদায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আঞ্চলিক কার্যক্রমের তথ্যচিত্রও উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
উইকিপিডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিশ্বকোষ, যেখানে ৩ শতাধিক ভাষায় সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি নিবন্ধ। আর এই বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন লাখো স্বেচ্ছাসেবী। বাংলাদেশের উইকিপিডিয়ানরাও দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্য তুলে ধরছেন বিশ্ব দরবারে। এতে দেশের সম্মান যেমন বাড়ছে, তেমনি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহও বাড়ছে।
এবার উইকিম্যানিয়া ২০২৫-এ বৈচিত্র্য, নারীর অংশগ্রহণ ও ভাষাভিত্তিক অবদানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু করেছে ‘নোলেজ ইজ হিউম্যান, নোলেজ ইজ হার’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন, যেখানে বিশ্বজুড়ে নারীর অবদান তুলে ধরা হচ্ছে। বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন উন্নয়নশীল দেশের নারী উইকিপিডিয়ানরা। শুধু সম্পাদক নয়, ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ বা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অবদান রাখা সবাই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
নাইরোবিতে উইকিম্যানিয়া ২০২৫-এর মূল প্রতিপাদ্য ‘বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’। এখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও নারীবিষয়ক তথ্যের ঘাটতি পূরণে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।
আরেকটি তথ্য হলো উইকিপিডিয়া এখন শুধু তথ্যভাণ্ডার নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের প্রধান তথ্যসূত্রও। তাই সবার সহযোগিতায় উইকিপিডিয়াকে আরও নির্ভরযোগ্য ও বৈচিত্র্যময় করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ বিষয়ে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদ শাবাব মুস্তাফা জানান, উইকিম্যানিয়া হচ্ছে উইকিপিডিয়ান ও উইকিমিডিয়ানদের নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটি সম্মেলন। এতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উইকিপিডিয়ানরা বিশ্বকোষে তাদের অবদান বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা ও আইডিয়া বিনিময় করেন।
তিনি জানান, প্রায় প্রতি বছরই এ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে উইকিপিডিয়ানরা অংশ নিয়ে থাকেন। আমরা আশা করছি বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ানরা সেখান থেকে হৃদ্য হয়ে বাংলা উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন।
ঢাকা/মেহেদী