সুদিনের আশায় মরিয়ম আর জুলিয়ারা লেগে আছেন শৈবাল চাষে
Published: 6th, May 2025 GMT
কক্সবাজার জেলার নুনিয়াছড়া। বিমানবন্দরের কাছেই এর অবস্থান। জেলার সামুদ্রিক শৈবাল (সি–উইড) চাষের সবচেয়ে বড় জায়গা এটি। সেখানে থাকেন মরিয়ম (৫২)। ৯ বছর ধরে শৈবাল চাষ করছেন। তাঁর পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস এটি। প্রশিক্ষণ নিয়ে শৈবাল চাষে দক্ষতা অর্জন করেছেন। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। তবে বেচতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছে এই নারীকে। ভালো দাম পাননি। গত বছরের চেয়ে কম দামে শৈবাল বিক্রি করতে হয়েছে মরিয়মকে।
গত ৯ এপ্রিল সরেজমিনে কক্সবাজারের উখিয়ার রেজুখালে কথা হয় শৈবালচাষি মরিয়ম, জুলেখা, নূর নবীদের সঙ্গে। তাঁরা বলেলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছিল। খুশি ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে সেই খুশি উবে গেছে।
আইজেক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদরের নুনিয়াছড়া, চৌফলদণ্ডী, উখিয়ার রেজুখাল ও মনখাল, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং মহেশখালীর সোনাদিয়া পূর্বপাড়া ও সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়ার ১২৩ জন নারী আর ৬০ জন পুরুষকে শৈবাল চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের পরে চাষের উপকরণ ও বীজ দিয়ে তাঁদের চাষাবাদে সহায়তা করা হয়েছে।এই শৈবালচাষিরা আরও বলেন, এ পেশায় নারীরা সহজে যুক্ত হতে পারেন। তাঁদের হাতে টাকাপয়সা আসে। পরিবারের অভাব ঘোচে। তাই শৈবাল চাষের সম্ভাবনাকে যেন কাজে লাগানো হয়।
শৈবালচাষিরা কেন দাম পেলেন না—এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কক্সবাজার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। কিন্ত বাজার বাড়েনি। তাই কম দামে শৈবাল বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। বাজার বাড়ানোর জন্য কক্সবাজারে কারখানা স্থাপন করা গেলে শৈবাল থেকে আগার আগার পাউডারসহ বিভিন্ন উপকরণ বানানো সম্ভব।
মোস্তাক আহমেদ জানান, কক্সবাজারে শৈবাল চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে সরকারের ব্লু ইকোনমি (সমুদ্র অর্থনীতি) সেলের কয়েকজন কর্মকর্তা পরিদর্শন করে গেছেন। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার একটি দল শৈবাল চাষ ও বাজারজাত বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছিল।
সবুজ রঙের উলভা প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিসিবির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আইসিসির, পাঠিয়েছে মেইল
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয়দের হাত না মেলানো বিতর্কে এবার নতুন মোড়! ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি পিসিবির বিরুদ্ধে ‘অশোভন আচরণ’ এবং খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের নির্ধারিত এলাকার (পিএমওএ) একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে পিসিবিকে ই–মেইল পাঠিয়েছে আইসিসি।
এশিয়া কাপ–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘আইসিসির সিইও সঞ্জোগ গুপ্তা পিসিবিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ম্যাচের দিনে তাঁরা বারবার বিএমওএয়ের নিয়ম ভেঙেছে। পিসিবি এই ই-মেইল পেয়েছে।’
১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শুরু ও শেষে সূর্যকুমার যাদবের দল সালমান আগাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি। এ ঘটনায় পিসিবি ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে দোষারোপ করে তাঁর অপসারণের দাবি জানায় আইসিসির কাছে। আইসিসি তা আমলে না নেওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের হুমকি দেয় পিসিবি। এমনকি ম্যাচ শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়েও দেওয়া হয়।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিসিবির সঙ্গে একমত হয়ে আইসিসি রাজি হয় যে ভারত ম্যাচ-সংক্রান্ত বিষয় মেটাতে পাইক্রফট টসের আগে অধিনায়ক ও ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করবেন।
সূত্র বলে, ‘উদ্দেশ্য ছিল ভারত ম্যাচের টসের সময় যেকোনো ভুল–বোঝাবুঝি বা ভুল যোগাযোগ হয়েছিল, তা দূর করা।’ সূত্র আরও জানায়, পিসিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে তাদের মিডিয়া ম্যানেজার নাঈম গিলানিকে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় এবং তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জোরাজুরি করা হয়।
আরও পড়ুনএশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন৪ ঘণ্টা আগেআইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ম্যানেজার পিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারকে ঢুকতে দেননি। কারণ, তিনি মুঠোফোনসহ পিএমওএ এলাকায় ঢুকতে চাইছিলেন। সূত্রের বর্ণনায়, তখন পিসিবি হুমকি দেয় যে মিডিয়া ম্যানেজারকে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াবে। শেষ পর্যন্ত তারা জোর করে বৈঠকের ভিডিও (শব্দ ছাড়া) ধারণ করে, যা ছিল পিএমওএ নিয়মের একটি লঙ্ঘন।
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে বারণ করেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট (বাঁয়ে)