কক্সবাজার জেলার নুনিয়াছড়া। বিমানবন্দরের কাছেই এর অবস্থান। জেলার সামুদ্রিক শৈবাল (সি–উইড) চাষের সবচেয়ে বড় জায়গা এটি। সেখানে থাকেন মরিয়ম (৫২)। ৯ বছর ধরে শৈবাল চাষ করছেন। তাঁর পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস এটি। প্রশিক্ষণ নিয়ে শৈবাল চাষে দক্ষতা অর্জন করেছেন। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। তবে বেচতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছে এই নারীকে। ভালো দাম পাননি। গত বছরের চেয়ে কম দামে শৈবাল বিক্রি করতে হয়েছে মরিয়মকে।

গত ৯ এপ্রিল সরেজমিনে কক্সবাজারের উখিয়ার রেজুখালে কথা হয় শৈবালচাষি মরিয়ম, জুলেখা, নূর নবীদের সঙ্গে। তাঁরা বলেলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছিল। খুশি ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে সেই খুশি উবে গেছে।

আইজেক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদরের নুনিয়াছড়া, চৌফলদণ্ডী, উখিয়ার রেজুখাল ও মনখাল, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং মহেশখালীর সোনাদিয়া পূর্বপাড়া ও সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়ার ১২৩ জন নারী আর ৬০ জন পুরুষকে শৈবাল চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের পরে চাষের উপকরণ ও বীজ দিয়ে তাঁদের চাষাবাদে সহায়তা করা হয়েছে।

এই শৈবালচাষিরা আরও বলেন, এ পেশায় নারীরা সহজে যুক্ত হতে পারেন। তাঁদের হাতে টাকাপয়সা আসে। পরিবারের অভাব ঘোচে। তাই শৈবাল চাষের সম্ভাবনাকে যেন কাজে লাগানো হয়।

শৈবালচাষিরা কেন দাম পেলেন না—এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কক্সবাজার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। কিন্ত বাজার বাড়েনি। তাই কম দামে শৈবাল বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। বাজার বাড়ানোর জন্য কক্সবাজারে কারখানা স্থাপন করা গেলে শৈবাল থেকে আগার আগার পাউডারসহ বিভিন্ন উপকরণ বানানো সম্ভব।

মোস্তাক আহমেদ জানান, কক্সবাজারে শৈবাল চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে সরকারের ব্লু ইকোনমি (সমুদ্র অর্থনীতি) সেলের কয়েকজন কর্মকর্তা পরিদর্শন করে গেছেন। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার একটি দল শৈবাল চাষ ও বাজারজাত বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছিল।

সবুজ রঙের উলভা প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাছ-মাংসের স্বাদ বাড়াতে চান? জেনে নিন ম্যারিনেট পদ্ধতি

একইভাবে রান্না করলে খাবার একঘেয়ে লাগতে পারে। এ কারণে মাঝে মধ্যে স্বাদ বদল করা জরুরি। রান্নার আগে ম্যারিনেট করলে মাছ-মাংসের স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তবে এজন্য সঠিক ম্যারিনেশন পদ্ধতি জানা জরুরি। 

ম্যারিনেশনে লবণ ও লেবুর রসের আলাদা ভূমিকা
স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লবণের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। মিশ্রণের পর জটিল পদ্ধতিতে লবণ মাংসের ভিতর থেকে আর্দ্রতা বার করে আনে। এ কারণে বলা হয়, লবণ মাখালে মাংস থেকে দ্রুত পানি ছাড়বে। তা ছাড়া পেশির তন্তুগুলিকে আলগা করে মাংসকে নরম করতে পারে লবণ। ভিনেগার, লেবুর রস, ইয়োগার্ট, বাটারমিল্কের মতো অ্যাসিডিক উপকরণগুলি মাংসে মাখিয়ে রাখলে তা মাংসের উপরিতলের প্রোটিনের গঠন পাল্টে দিতে পারে। অ্যাসিডের টক ভাব মাংসে স্বাদ এনে দেয়। 

ম্যারিনেশনের সময় যা মাথায় রাখা জরুরি-
সবসময় তাজা এবং সুগন্ধ যুক্ত উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করবেন। 
দীর্ঘ সময় ধরে ম্যারিনেট করা মানেই মাংসের গভীরে উপকরণগুলি প্রবেশ করা নয়। কম সময়েও ভালো ম্যারিনেশন হতে পারে। তবে উপকরণগুলো হতে হবে যথাযথ অনুপাতে।
তেল বা টক দইয়ের মতো উপকরণ অ্যাসিডিক উপাদানগুলির মতোই কাজ করে। আপনি ঠিক কোন পদটি রান্না করতে চাইছেন, তার উপর এটা নির্ভর করে। 
ফ্রিজ থেকে ম্যারিনেট করা মাংস বের করে সরাসরি রান্নায় দিয়ে দেবেন না। কিছুক্ষণ পর দিন। তা না হলে স্বাদে সমস্যা হতে পারে। 
অতিরিক্ত ম্যারিনেশনে মাংস গলে যেতে পারে। খুব বেশি ক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখলে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় মাংসের গঠনে পরিবর্তন আসে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন পেয়ারার সালাদ
  • আনারসের সালাদের রেসিপি
  • মাছ-মাংসের স্বাদ বাড়াতে চান? জেনে নিন ম্যারিনেট পদ্ধতি