ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য কাজ করছে প্যারিস। ফ্রান্সের আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

ব্যারোট বলেন, ফ্রান্স “একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য কাজ করছে।” ফ্রান্সের এই প্রচেষ্টা অন্যান্য রাষ্ট্রকেও একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

জিন-নোয়েল বলেন, “এই বিষয়গুলোতে কথা বলার সময় ফ্রান্সের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। আমরা চাই অন্যান্য দেশ ফ্রান্সের সাথে কাজ করুক, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক এবং ফ্রান্স অনিশ্চিত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা করুক।”

তিনি বলেন, “গাজায় জরুরি অগ্রাধিকার হলো যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সাহায্যের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার.

.. যেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাস্তব। অবিলম্বে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করতে হবে।”

ইসরায়েলের গাজা দখলের ঘোষণার ব্যাপারে ফারাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘মানবিক আইনের লঙ্ঘন।’ ফ্রান্স পরিকল্পিত ইসরায়েলি অভিযানের ‘তীব্র নিন্দা’ জানায়।

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে আমানতকারীদের টাকা লোপাটের অভিযোগ

ফেনীতে সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি শাখা থেকে এফডিআর ও বিভিন্ন হিসাবে সঞ্চিত অর্থসহ গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি হতে পারে বলে গ্রাহকেরা দাবি করলেও নিশ্চিত করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গ্রহকেরা টাকা সরানোর বিষয়টি জানতে পারলে ওই কর্মকর্তা গা ঢাকা দেন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ফতেহনগর এলাকার সালমান হাজী বাড়ির আবদুল হকের ছেলে। জিয়াউল হক সাউথইস্ট ব্যাংকের সিলোনিয়া বাজার শাখায় কর্মরত রয়েছেন।

গ্রাহক ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার বিভিন্ন গ্রাহকের হিবাস থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমানতের অর্থের বিষয়ে খোঁজ নিতে ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহকেরা। গত কয়েক কর্মদিবসে গ্রাহকেরা এসে ব্যাংকের ওই শাখায় নিজেদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংকের গ্রাহক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল আমার হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ সময় ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ মে ওই ব্যাংক ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামানকে মুঠোফোনে বিস্তারিত জানিয়েছি।’

দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী এ কে আজাদ বলেন, ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্টে থেকে ৩২ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক কোনো একসময়ে তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এ টাকা সরিয়েছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।

ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে ৪ মে ওই শাখা ঘুরে গেছেন সাউথইস্ট ব্যাংকের অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা। অডিট কর্মকর্তারা আসার পরে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হক গা ঢাকা দেন বলে জানান আমানতকারীরা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তার বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাও তথ্য জানাতে পারেননি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ব্যাংক হিসাব থেকে লোপাটের বিষয়টি জানার পর ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাংকের এই শাখায় এসে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কতজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কী পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছে অডিট কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ