নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ‘কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও  পরিবেশ অধিদপ্তরকে নদীর দূষণ ও ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। রুলে নদীর পানি দূষণের জন্য দায়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আদেশে, বিআইডব্লিউটিএ-কে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি নদীর দূষণরোধে ব্যবস্থা নেবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে। 

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত ২৪ এপ্রিল জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করে। রিটে বলা হয়, শিল্পকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে শীতলক্ষ্যা নদীর পানির গুণগতমান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে পরিবেশ, জলজ প্রাণী ও আশপাশের মানুষের জীবনধারায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যার দূষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে নদী এক সময় বিলীন হয়ে যাবে।
আদালতে শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

শফিকুর রহমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজশাহীতে ফরিদুল ইসলাম খান নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ পরিদর্শককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোসা. মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।

ফরিদুল ইসলাম খান সবশেষ রাজশাহীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি অবসরে গেছেন। বর্তমানে রাজশাহী নগরের বড়কুঠিপাড়া মহল্লায় বাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সুবর্ণগাতি গ্রামে।

দুদকের রাজশাহীর আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালে ফরিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

আরো পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ

সোমবার মামলার ধার্য্য তারিখে ফরিদুল ইসলাম খান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না, লেনদেনে ট্রাম্প ভরসা করার মতো লোক নন
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের ওপর আদেশ এক দিন পেছাল
  • দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসামিদের আপিল শুনানি চলছে
  • নালায় পড়ে নারীর মৃত্যু: দায়িত্বে অবহেলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি চেয়ে রিট
  • দুদকের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে
  • শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের একই আইনজীবী নিয়ে বার্গম্যানের প্রশ্ন