সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ১০৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। দুই কার্গো এলএনজি সরবরাহের কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া লিমিটেড।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন অর্থ উপদেষ্টা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে ইতালির মিলানে রয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গণখাতে ক্রয় বিধিমালা–২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি।

জানা গেছে, ভিটল এশিয়া লিমিটেড থেকে এলএনজির প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ দশমিক ৪৪৮৮ মার্কিন ডলারে কেনা হচ্ছে। ভিন্ন আরেকটি প্রস্তাবের বিপরীতে এলএনজি কেনা হচ্ছে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ দশমিক ৫৭৮৮ মার্কিন ডলারে। দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল ১২ দশমিক ৪৭৫ মার্কিন ডলার।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।

তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩-এ উন্নীত হয়। ভিটল এশিয়া সেই ২৩টিরই একটি।

এদিকে ‘২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্টসমূহের জরুরি পুনর্বাসন ও পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬০ কোটি টাকা।

ক্রয় কমিটিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে ১৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব আমদ ন র উপদ ষ ট অন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: যশোরে ‘কাচ্ছি ভাই’সহ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে যশোরে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘জনি কাবাব’ ও ‘অনন্যা ঘোষ ডেয়ারি’ নামের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়।

অভিযানে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, সরবরাহ ও খাদ্যপ্রক্রিয়ায় মান লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকেই মামলা করেন স্যানেটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম।

অভিযানে অংশ নেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও জেলা স্যানেটারি পরিদর্শক নাজনীন নাহার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য আদালতের ভ্রাম্যমাণ দলটি প্রথমেই যশোরের রেল সড়কে অবস্থিত কাচ্চি ভাই নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। বিভিন্ন অসংগতির কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক ভেকুটিয়া গ্রামের সোহেল সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

পরে দলটি যায় পার্শ্ববর্তী জনি কাবাবে। সেখানেও ছিল একই অবস্থা। বিশেষ করে রান্নাঘরে দেখেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অনিরাপদ অবস্থায় রান্নাঘরেই রয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রতিষ্ঠানের মালিক বেজপাড়ার জয়নুল হক জনির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এরপর দলটি যায় শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের মিষ্টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনন্যা ঘোষ ডেয়ারিতে। সেখানে গিয়ে আদালত দেখতে পান, দোকানের সামনে সুন্দরভাবে মিষ্টি সাজিয়ে রাখলেও ভেতরের গুদামে ময়লা–আবর্জনার স্তূপের পাশেই রাখা হয়েছে মিষ্টির গামলাসহ বিভিন্ন আসবাব। পরে তাঁরা যান ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কে অনন্যা ঘোষ ডেয়ারির কারখানায়। সেখানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, মিষ্টিতে মাছি, স্যাতসেতে পরিবেশ ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক মিহির ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, সরবরাহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি আদালতের নেতৃত্বে তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের শেয়ারবাজারে রক্তপাত হলেও গতকাল দিনশেষে বাড়ল ভারতের সূচক
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: যশোরে ‘কাচ্ছি ভাই’সহ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
  • গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন
  • ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন
  • চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়নে দুই প্রকল্প অনুমোদন
  • দুই কার্গো এলএনজি ক্রয়ে অনুমোদন, ব্যয় ১১০৪ কোটি
  • এলএনজি: নতুন ঔপনিবেশিক হাতিয়ার?
  • ১১০৪ কোটি ৪১ লাখে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার