ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে সবাইকে যমুনার সামনে আসতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আহ্বান জানান এনপিসি নেতা নাহিদ ইসলাম। তারপর এনসিপির দুই শীর্ষ সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমও তাদের নিজ নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে যমুনার সামনে আসার আহ্বান জানান। 

এনসিপির শীর্ষ নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে যমুনার সামনে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। তাদের সবার দাবি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা। তারা বলছেন, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করলেই চলবে না; গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

পঞ্চগড়ের সাবেক ৩ এমপি ও ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

 

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ এনস প আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত না করলে সংকট আসবে: সরকারকে মান্না

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোনোরকম পক্ষপাত করবেন না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করাই হবে এই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নইলে নানা রকম সংকট আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মহান মে দিবস ও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
মান্না বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন মনে করিয়ে দিয়েছিল, এবার বদলাতে হবে। কিন্তু কেউ মনে করছে, এই সরকার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে, কেউ মনে করছে– কিছুই হবে না। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের আচরণ আগের মতো। সচিবালয়ে এখনও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের দাপট চলছে। গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমান এসেই ছয় ঘণ্টায় প্রশাসন রদবদল করেন। এই সরকার তেমন কিছুই করতে পারল না কেন? ৯ মাসে সরকার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি।

মান্না বলেন, প্রফেসর ইউনূস সব কথা বিদেশিদের সঙ্গে বলেন। দেশের কারও সঙ্গে বলেন না। করিডোর নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করেননি। কেউ বলছেন আগে বিচার, পরে নির্বাচন। মনে রাখতে হবে, পলিটিক্স ইজ দা কমান্ডার অব দা সোসাইটি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী দিপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ