ইবিতে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে শেখপাড়া বাজার ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চব্বিশের বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
মহানবী (সা.
ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবিতে সাংবাদিককে হেনস্তা
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এসএম সুইটের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, তলাবায়ে আরাবিয়ার সাধারণ সম্পাদক শামিমসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসএম সুইট বলেন, “জুলাই আন্দোলন যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের চালাতে হয়েছে, তেমনি আরেকটি আন্দোলন চালাতে হচ্ছে। যা আমাদের আবার ধৈর্যের সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। আমরা দেখছি, কিছু চাওয়া-পাওয়া, বোঝা-পোড়ার কারণে আওয়ামী প্রশ্নে অনেকে নমনীয়তা দেখাচ্ছে। আশা করি জুলাই আন্দোলনে তারা যেভাবে কাঁধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে, সেই কাজটিই করবে। আসলে ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।”
তিনি বলেন, “জুলাই গণহত্যা চালিয়ে তারা তাদের বেঁচে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাই ইন্টেরিমকে অতিদ্রুত আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের দাবি আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মদ্যপ পর্যটককে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করল ব্যবসায়ীরা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অতিরিক্ত মদপান করে গোসলে নেমে ডুবে যাওয়া এক পর্যটককে উদ্ধার করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সৈকতের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পর্যটকের নাম সোহেল রানা (৪০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় ওই পর্যটক সৈকতে আসেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করনে। কিন্তু তিনি সমুদ্রে নেমে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই তাকে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে দেখে এক ফটোগ্রাফার, ভ্যানচালক এবং মোটরসাইকেল আরোহী তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। তারা ওই পর্যটককে উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
মাতামুহুরী নদীর তীরে মিলল পর্যটকের লাশ, এখনো নিখোঁজ ২
জাফলংয়ে নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
কুয়াকাটা সৈকতের ভ্যানচালক মো. শুক্কুর বলেন, ‘‘সৈকতে এসেই ওই পর্যটক মাতলামি করছিল। পরে সে দৌড়ে সমুদ্রের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাই সে সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করি।’’
উদ্ধারকারী সৈকতের ফটোগ্রাফার রাকিব হোসেন বলেন, ‘‘সে প্রচুর পরিমানে মদ খেয়েছে। ফলে নিজের নামও বলতে পারছিল না। আমরা তাকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছি। কিন্তু শোনেনি।’’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘ওই পর্যটককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি সৈকতে মদ্যপান ও অসচেতন আচরণ বন্ধে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
ইমরান//