গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, মুক্তি মিলছে না সহসা!
Published: 10th, May 2025 GMT
প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত নগরজীবন। তীব্র গরমে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ। আর্দ্রতা বেশি থাকায় এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশজুড়ে। অন্তত ৬০ জেলায় বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আগামী সোমবার (১২ মে) থেকে কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তবে, সারা দেশকে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে পুরো সপ্তাহ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনের রেকর্ড। আজ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে, গরম অনুভূত হচ্ছে (ফিল লাইক) আরো বেশি। এ অবস্থা থাকবে আরো দুয়েকদিন।
তাপমাত্রা ৩৮-৩৯.
আরো পড়ুন:
ঝড়-বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানের
গত তিনদিন থেকেই দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কোথাও মাঝারি, কোথাও মৃদু আবার কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রার এ ঊর্ধ্বগতি রবিবারও (১১ মে) থাকতে পারে। তবে, আশার খবর হলো আগামী সোমবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম বলেন, “তাপপ্রবাহ ১২ মে বা তার আশেপাশের সময়ে কমে আসতে পারে। তখন দেশের তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। তবে পুরোপুরি তাপপ্রবাহ মুক্ত নাও হতে পারে। বৃষ্টির ধারাটা ১২ তারিখের পরে আস্তে আস্তে বাড়বে। এটা যখন আরো বাড়বে অর্থাৎ পূর্ণ মাত্রায় যাবে বিস্তৃতি বাড়বে; তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমে আসবে। ১৬ থেকে ১৮ মের মধ্যে তাপপ্রবাহ মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
তিনি আরো বলেন, “তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা কমে আসে। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমে আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা বাড়বে। পর্যাপ্ত পরিবেশ তৈরি না হলে বৃষ্টি হবে না। মার্চ, এপ্রিল, মে– এই সময় যে বৃষ্টিটা হয় কালবৈশাখী ঝড় থেকে হয়।”
আবহাওয়া অফিস বলছে, মে মাস ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। কিন্তু আগামী ১০ দিনে তেমন কোনো ঝড়ের আশঙ্কা নেই।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ট্রলি উল্টে খালে, গোসলরত ৩ নারীর মৃত্যু
কুমিল্লার তিতাসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রলি খালে উল্টে পড়ে তিন নারী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কড়িকান্দি-চররাজাপুর সড়কের পার্শ্ববর্তী তিতাস নদীর শাখা খালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া নারীরা খালে গোসল করছিলেন।
নিহতরা হলেন- কড়িকান্দি গ্রামের শুক্কুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫), ইমন মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩০) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী সামছুন নাহার (৪০)। তােরে মধ্যে রুজিনা ও সামছুন নাহার সম্পর্কে আত্মীয়।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে গাড়িচাপায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানের ২ যাত্রী নিহত
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাড়িকান্দি গ্রামের তিন নারী তিতাস নদীর শাখা খালে গোসল করছিলেন। রাজাপুর থেকে আসা একটি ট্রলি কড়িকান্দি-চররাজাপুর সড়কের ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালের ভেতর উল্টে পড়ে। ট্রলির নিচে চাপা পড়ে রিনা ও রুজিনা মারা যান। সামছুন নাহারকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, “দুর্ঘটনায় একই গ্রামের তিন নারী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ