অনলাইন প্রতারণা ঠেকাতে ক্রোমে এআই মডেল ‘জেমিনি ন্যানো’ যুক্ত করল গুগল
Published: 12th, May 2025 GMT
অনলাইন প্রতারণা ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। এরই মধ্যে ক্রোম ব্রাউজারের ডেস্কটপ সংস্করণে নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ‘জেমিনি ন্যানো’ যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগলের দাবি, এই মডেল ব্যবহার করে স্ক্যাম শনাক্তকরণের কাজ আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা যাবে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিটি অ্যান্ড্রয়েডেও চালু করা হবে।
গুগল জানিয়েছে যে জেমিনি ন্যানো যুক্ত হলে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েবসাইট তৎক্ষণাৎ শনাক্ত করা যাবে। ফলে আগে কখনো দেখা যায়নি, এমন প্রতারণাও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। ওয়েবসাইটের জটিল ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা জেমিনি ন্যানোর রয়েছে, যা আমাদের নতুন ধরনের প্রতারণার কৌশল বুঝে প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ তৈরি করবে।
গুগল জানিয়েছে, বর্তমানে জেমিনি ন্যানো ব্যবহার করে অনলাইনে প্রযুক্তিসেবা দেওয়ার নামে পরিচালিত ভুয়া টেক সাপোর্ট প্রতারণা ঠেকানো হচ্ছে। শিগগিরই এআইভিত্তিক সতর্কবার্তা চালু করা হবে ক্রোম ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য। ক্রোমের অন-ডিভাইস মেশিন লার্নিং মডেল যখন কোনো সন্দেহজনক নোটিফিকেশন শনাক্ত করবে, তখন ব্যবহারকারীকে একটি সতর্কবার্তা দেখানো হবে। চাইলে তিনি ওই সাইট থেকে ভবিষ্যতে কোনো নোটিফিকেশন না পেতে আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। আর কেউ যদি মনে করেন যে সতর্কবার্তাটি ভুলভাবে দেখানো হয়েছে, তাহলে তিনি সেই ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন আবার চালুও করে নিতে পারবেন।
অনলাইন প্রতারণা ঠেকাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নতুন কিছু নয় গুগলের জন্য। প্রতিদিন গুগল সার্চে বিপুল পরিমাণ প্রতারণামূলক ফলাফল এআই ব্যবহার করে সরিয়ে ফেলা হয়। গুগলের ভাষ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ওয়েবের বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে সমন্বিত প্রতারণা প্রচেষ্টা শনাক্ত এবং সম্ভাব্য হুমকি আগে থেকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সম্প্রতি ওয়েবসাইটে বিমান সংস্থার গ্রাহকসেবা প্রতিনিধির ছদ্মবেশে প্রতারণার প্রবণতা বেড়েছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে এমন প্রতারণা ৮০ শতাংশের বেশি হারে কমানো গেছে। একই সঙ্গে আগের তুলনায় ২০ গুণ বেশি স্ক্যাম সাইট শনাক্ত করা যাচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ব যবহ র ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে হাসপাতালের বারান্দায় ২ নারীর সন্তান প্রসব
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও লেবার ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানারও পরও সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি প্রসূতিদের। পরে হাসপাতালের বারান্দায় নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে আড়াল করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। দুই প্রসূতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। তিনি একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন।
অন্যজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, এদিন বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলার ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান দুই প্রসূতি ও তাদের স্বজনরা। স্বজনরা কর্তব্যরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শোনেনি বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরি বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।
এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পাননি। পর্দা করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। পরে সেখানে উপস্থিত নারীরা নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে পর্দার ব্যবস্থা করেন। প্রথমজনের ১০ মিনিট পরে অপর প্রসূতিও একইভাবে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “যে ওয়ার্ডটিতে সন্তান প্রসব করেছেন সেটা পুরোটাই লেবার ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ নারী আসেন। যারা বিভিন্ন উপজেলা থেকে রেফার্ড হয়ে আসেন। দেখা যায় তারা অন্তিম মুহূর্তে আসেন তখন সিরিয়াল থাকে না। এছাড়া একটি বাচ্চা চার মাস আগে ডেড ছিল। সেটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অপর মায়ের ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”
তিনি জানান, কোন এক রোগীর স্বজন লেবার ওয়ার্ডের ছবি তুলে বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে ডাক্তার বা নার্সদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না। সবাই ওভার লোডেড হয়ে কাজ করছে। তার জন্য চাইলেও আমরা শতভাগ সার্ভিস দিতে পরি না। সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/নূর/এস