ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার উপজেলার কাঁঠালী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় তারা বিক্ষোভ শুরু করলে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিল্পপুলিশের ময়মনসিংহ অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আল মামুন সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ময়মনসিংহ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক আহমাদ মাসুদ জানান, রোর ফ্যাশনের নামে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকদের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে বিজিএমইএ গঠিত কমিটিতে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে। কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এ কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসন ও শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটি শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রম আইনে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে রোর ফ্যাশনের শ্রমিক ও মালিক পক্ষের বক্তব্য জানার চেষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।