রাজশাহী নগরে বেড়ে চলেছে শব্দদূষণ, গাড়ির হর্নে নীরব এলাকাও ‘সরব’
Published: 13th, May 2025 GMT
সোমবার বেলা ১১টা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটক। সামনে অসংখ্য গাড়ি থেমে আছে। এসব গাড়ি থেকে বারবার হর্ন বাজানো হচ্ছে। শুধু বাইরের রাস্তাতেই নয়, হাসপাতালের ভেতরে যাওয়া অটোরিকশাসহ অন্যান্য গাড়ি থেকেও পাওয়া যাচ্ছে হর্নের শব্দ।
নগরের লক্ষ্মীপুরের এই এলাকায় আরও রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। রাস্তার দক্ষিণ পাশে রয়েছে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, একটি উচ্চবিদ্যালয়। আর রাস্তার দুই ধারে বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে অসংখ্য। পরিবেশ অধিদপ্তর এই এলাকাসহ ঘোষপাড়া, লক্ষ্মীপুর মোড় ও সিঅ্যান্ডবি মোড়কে অনেক আগেই ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কাগজে-কলমে এলাকাটি নীরব থাকার কথা থাকলেও উচ্চ শব্দে ভরপুর থাকে দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময়।
রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়কে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের এখানে এলেই গাড়ির শব্দ হয়। গাড়িগুলো থেমে থেকেও হর্ন বাজায়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে অটোরিকশাও হর্ন দিচ্ছে, আনসার সদস্যরাও বাঁশি বাজাচ্ছে। অন্তত হাসপাতালের সামনের জায়গাটুকুতে হর্ন বাজানো বন্ধ করা যেত।
নগরের বাসিন্দা, পরিবেশবাদী আন্দোলনের কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজশাহী শহরে কয়েক বছর আগেও এত শব্দদূষণ ছিল না। নগরজুড়ে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন নির্মাণ, শহরে অটোরিকশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকা, প্রশাসনের তদারকি ও জনসচেতনতার অভাবে শব্দদূষণ বেড়ে চলেছে। এতে করে নগরের মানুষ নীরবেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন। দ্রুত এই শব্দ নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে এটি আরও আশঙ্কাজনক হারে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
২০২২ সাল থেকে রাজশাহী শহরে শব্দের মাত্রা পরীক্ষা করছে বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি সংগঠন। তাদের পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছরই শহরটিতে শব্দের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন চার বছরের পরীক্ষার ফল: রাজশাহী শহরে প্রতিবছরই শব্দদূষণ বাড়ছে১০ মে ২০২৫শব্দের তীব্রতা নিয়ে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপির (২০২২) প্রকাশ করা ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২২: নয়েজ, ব্রেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ঢাকাকে বিশ্বের প্রথম এবং রাজশাহীকে বিশ্বের চতুর্থ শব্দদূষণকারী শহর হিসেবে দেখানো হয়। যেখানে রাজশাহীতে শব্দের পরিমাণ দেখানো হয় ১০৩ ডেসিবেল। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন থেকে প্রতিবছর শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে আসছে ওই সংগঠন। স্থানীয় পরীক্ষায় শব্দের মাত্রা ১০০ ডেসিবেলের বেশি না পাওয়া গেলেও কাছাকাছি পাওয়া গেছে।
যেমন শহরে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে (রেলগেট) গত ৪ বছরে শব্দের মাত্রা বেড়েছে ৭ ডেসিবেলের বেশি। ২০২২ সালে এই চত্বরে শব্দের মাত্রা ছিল ৯০ ডেসিবেল। গত শনিবার (১০ মে) একই স্থানে শব্দের মাত্রা মেপে পাওয়া গেছে ৯৭ দশমিক ২ ডেসিবেল।
যত্রতত্র থেমে থাকা যানবাহনের হর্নে রাজশাহী নগরে বাড়ছে শব্দদূষণ। সোমবার নগরের ভদ্রা এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ পর ব শ নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।
আবেদন ফি ৪০০ টাকা
ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫