মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে নড়াইল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে ১২ মে শহরের বল্রারটোপ কলেজে মাদকবিরোধী আলোচনা করেন সুহৃদরা।
‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’ প্রতিপাদ্যে নড়াইল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদকবিরোধী শপথ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নড়াইল বল্লারটোপ আইডিয়াল কলেজে এ কর্মসূচি পালন করেন সুহৃদরা। এ সময় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় মাদকবিরোধী নানা স্লোগান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ এম এম সাঈদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব খন্দকার, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক প্রশান্ত কুমার সরকার, সুস্মিতা বিশ্বাস, জয়দেব কুমার কুণ্ডু, ক্রীড়া শিক্ষক ইতি রানী কুণ্ডু, সুহৃদ চয়ন কুণ্ডু প্রমুখ।
এম এম সাঈদুর রহমান বলেন, ‘শুধু অশিক্ষিতদের মধ্যে নয়, এখন শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যেও মাদকাসক্তি বাড়ছে। মাদকের নেতিবাচক প্রভাব পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকের শিশু আগামী দিনের কাণ্ডারি। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা করতে হবে। পরিবার ও সমাজ থেকে আওয়াজ তুলতে হবে মাদকের বিরুদ্ধে।’
শপথ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। কলেজে কোনো শিক্ষার্থী কোনো রকম মাদকের ব্যবহার কোনো দিন যেন না করে সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, নড়াইল
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ ম দকব র ধ
এছাড়াও পড়ুন:
আসছে এনসিপির ‘যুবশক্তি’, আত্মপ্রকাশ শুক্রবার
জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং গঠন করা হচ্ছে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে জাতীয় যুবশক্তি। আগামী শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এ ঘোষণা দেন। এ সময় যুব উইংয়ের সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম, এস এম শাহরিয়ার, তুহিন মাহমুদ, নাহিদা বুশরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি আত্মপ্রকাশের পর আমরা প্রত্যেক জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে যুব সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করতে পারি, সে বিষয়ে মতামত নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে সংগঠন যেভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে বড় আকারে নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি জাতীয় যুবশক্তি বাংলাদেশে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা ১০০-১৫০ বছরে একবার আসে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪০ শতাংশ তরুণ। বাংলাদেশের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চাইলে এই তরুণ শক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে তরুণদেরকে সংগঠিত করতে হবে।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি বড় কারণ ছিল তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের প্রবেশ কম ছিল। তারা মাঠে নেমে এসে এই বৈষম্য ভেঙে দিয়েছে। তরুণদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তরুণদের নিয়ে আসতে জাতীয় যুবশক্তি কাজ করবে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (যুব) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাতচল্লিশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুব সমাজ অগ্রভাগে ছিল। প্রবল দেশপ্রেম থাকা সত্ত্বেও তরুণদের অধিকাংশই রাজনীতিতে জড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ ও নিষ্ফল মনে করে। তাদের কথা বলার ও শোনার সহজলভ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নেই। আমরা চাই স্বাধীন মত প্রকাশ ও নৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত যুব সমাজ তাদের কাঙ্ক্ষিত রাজনীতি করতে পারবে।’
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের হাত ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনকে সম্প্রসারিত এবং ছড়িয়ে দিতে এনসিপি ইতোমধ্যে আরও বেশ কয়েকটি উইং গঠন করেছে। এরমধ্যে রয়েছে- এনসিপি স্বাস্থ্য উইং, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং, নারী উইং, শ্রমিক উইং, আইনজীবী উইং ইত্যাদি। উইংগুলো আত্মপ্রকাশ করতে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছে তারা।