অদূর ভবিষ্যতে সবকিছুই করবে চ্যাটবট। হাজারো প্রার্থীর ভেতর থেকে দৃষ্টিনন্দন সিভি তৈরির কাজও করবে বট। এমন ধারণা বাস্তবায়নে ‘আমি প্রবাসী অ্যাপ’ মেশিন লার্নিং চ্যাটবটভিত্তিক সিভি বিল্ডার উন্মুক্ত করেছে, যা ব্যবহার করে দ্রুত ও সহজে তৈরি করা যাবে পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত।
অনলাইন টুলস বা প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে অনেকেই নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েন। কিন্তু অ্যাপের সিভি বিল্ডার দিয়ে খুব সহজে যন্ত্রের সঙ্গে চ্যাট করে সিভি তৈরি করা সম্ভব বলে উদ্যোক্তারা জানায়। ফিচারে রয়েছে বাংলা মেশিন লার্নিং চ্যাটবট, যা সহজ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে তার যথাযথ তথ্য, যেমন– দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে জেনে নেয়।
মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে পেশাদার সিভি তৈরি করে দেবে। আগ্রহীরা সিভি তৈরি হয়ে গেলে পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ওই সিভি তাৎক্ষণিক শেয়ার করতে পারবেন। আবার চাইলে ভবিষ্যতের প্রয়োজনে তা সংরক্ষণ করা যাবে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে লক্ষাধিক আগ্রহী সিভি বিল্ডার ফিচার ব্যবহার করেছেন। যার মধ্যে তিন হাজারের বেশি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত; ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীর সংখ্যা ৩১ হাজারের বেশি এবং প্রকৌশলীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করে সহজে নতুন ফিচার ব্যবহার করা যাবে। যাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম, তারা এতে সহজ ও দ্রুত মানোন্নত পেশাদার সিভি তৈরি করতে পারবেন, যা চাকরির জগতে নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
আমি প্রবাসীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক বলেন, অনেকে, বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়, তারা জানেই না ডিজিটাল পদ্ধতিতে কীভাবে সিভি তৈরি করা যায়। অ্যাপের সিভি বিল্ডার ফিচার যে কারও জন্য সিভি তৈরি করা সহজ করেছে।
বাংলা মেশিন লার্নিং বটের সঙ্গে চ্যাট করে আগ্রহীরা এখন সিভি তৈরির সুবিধা নিতে পারবেন। বেকারত্বের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সবাইকে ভালো চাকরির সুযোগ করে দিতে এটি সহায়ক ফিচার। ভবিষ্যতে সিভি বিল্ডার ফিচারে এসএমএসের মাধ্যমে সিভি শেয়ার ও তাৎক্ষণিক সিভি ডাউনলোডের জন্য কিউআর কোড অপশন যুক্ত করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ য টবট ব যবহ র কর প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম