ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (১২ থেকে ১৫ মে) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

শনিবার (১৭ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স নেমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে। যেটা ২০২০ সালের ২৪ আগস্টের পর অর্থাৎ গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৪০ পয়েন্টের বেশি।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে বাজারে প্রতিনিয়ত যেসব শেয়ার বিক্রি হচ্ছে, তার বড় অংশই মার্জিন ঋণের দায়ে বাধ্যতামূলক বিক্রি। এতে করে বাজারের ওপর চাপ বাড়ছে, দরপতন বাড়ছে, আর পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে কেবল সূচকই নয়, আস্থা ও বিশ্বাসও নষ্ট হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২১.

২৬ পয়েন্ট বা ২.৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫০.২৪ পয়েন্ট বা ২.৭৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৫.৩৯ পয়েন্ট বা ৩.২৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ০.৪৬ পয়েন্ট বা ০.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৯৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, দর কমেছে ৩২২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৬.৭১ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৪৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৫১ শতাংশ কমে ৮ হাজার ২৪০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৬৫ শতাংশ কমে ৮৬৯ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) .৫৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ২১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫২ কোটি ৪১ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, দর কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন আর ব দ ন কম ছ ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

দুই ব্রোকারেজ হাউজ পেল ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালুর লক্ষ্যে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো-শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বৃহষ্পতিবার (১৫ মে) ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদানের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশহিসেবে ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিকে এ সনদ প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন

ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসই বোর্ডরুমে সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ্। শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম ও শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর পরিচালক অসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা জামাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছামিউল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. তারিকুল ইসলামসহ আইসিটি এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিওিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ২০২০ সাল থেকে। এরই প্রেক্ষিতে ৬৫টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে। আজকের ২টি ব্রোকারেজ হাউজ নিয়ে মোট ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে শাইনপুকুর সিরামিকস
  • রবিবার ডিএসই পরিদর্শনে যাবেন ড. আনিসুজ্জামান
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে সিটি ইন্স্যুরেন্স
  • ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.২৩ শতাংশ
  • টানা তিন দিন দর পতন
  • শেয়ারবাজারে পৌনে ৫ বছরে সর্বনিম্নে সূচক
  • দুই ব্রোকারেজ হাউজ পেল ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন
  • পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবসে সূচকের পতন