পুঁজিবাজারে ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক, মূলধন কমেছে ৪১৭৩ কোটি টাকা
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (১২ থেকে ১৫ মে) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
শনিবার (১৭ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স নেমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে। যেটা ২০২০ সালের ২৪ আগস্টের পর অর্থাৎ গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৪০ পয়েন্টের বেশি।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে বাজারে প্রতিনিয়ত যেসব শেয়ার বিক্রি হচ্ছে, তার বড় অংশই মার্জিন ঋণের দায়ে বাধ্যতামূলক বিক্রি। এতে করে বাজারের ওপর চাপ বাড়ছে, দরপতন বাড়ছে, আর পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে কেবল সূচকই নয়, আস্থা ও বিশ্বাসও নষ্ট হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২১.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৯৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, দর কমেছে ৩২২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৬.৭১ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৪৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৫১ শতাংশ কমে ৮ হাজার ২৪০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৬৫ শতাংশ কমে ৮৬৯ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) .৫৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ২১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, দর কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন আর ব দ ন কম ছ ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.০৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৯৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর) পিই রেশিও ছিল ৯.৮৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.০৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩.৫৮ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.২৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.৭৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ৯.১৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১০.৬৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১১.৪২ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১১.৮০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৩.২৩ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩.৭৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.৯৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৫.৩৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৫.৬৭ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭.৪১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৯.৩৪ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৯.৯৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ৩০.৮৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৫৬.৫৮ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ১৩০.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা