উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রথমবারের মতো চালু হলো অক্সফোর্ড একিউএ প্রি-স্কুল প্রোগ্রাম
Published: 17th, May 2025 GMT
দেশে উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গবেষণাভিত্তিক অক্সফোর্ড অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিফিকেশনস অ্যালায়েন্স (একিউএ) আর্লি ইয়ার্স প্রোগ্রাম।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার লালমাটিয়ায় অবস্থিত উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের উদ্বোধন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অক্সফোর্ড একিউএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড্রু কম্বি। সভাপতিত্ব করেন উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হেড অব স্কুলস আবদুল্লাহ জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড একিউএর ট্রেনিং অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগের টিম লিডার ম্যাট ম্যাকগ্রেগর, বাংলাদেশ ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শাহিন রেজা, উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জুনিয়র শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল সৈয়দা মিরা তাবাসসুম, সিনিয়র শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল পারভীন কাদের এবং গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল কর্নেল আলাউল কবিরসহ স্কুলের শিক্ষকেরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আর্লি ইয়ার্স অ্যান্ড জুনিয়র স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মহসিনা শারমিন নিশাত।
শিশুশিক্ষায় বিশ্বমানের সূচনা
যুক্তরাজ্যে চারটি শিক্ষা বোর্ড ব্রিটিশ কারিকুলামে পাঠদান করে। সেগুলো হলো ক্যামব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (সিএআইই), পিয়ারসন এডেক্সেল, অক্সফোর্ড একিউএ এবং ওসিআর। এর আগে বাংলাদেশে প্রথম দুটি কারিকুলাম বিদ্যমান থাকলেও তৃতীয়টি শুরু হলো উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
অক্সফোর্ড একিউএ আর্লি ইয়ার্স প্রোগ্রাম কী
এ প্রোগ্রামটি মূলত দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি একটি কাঠামোবদ্ধ ও গবেষণাভিত্তিক পাঠ্যক্রম, যা যুক্তরাজ্যের আর্লি ইয়ার্স ফাউন্ডেশন স্টেজ (ইওয়াইএফএস) কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখন থেকে এ প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের শিশুদের জন্যও সহজলভ্য হলো।
প্রোগ্রামটির সাতটি মূল ক্ষেত্র—ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক বিকাশ, ভাষা ও যোগাযোগ, শারীরিক দক্ষতা, সাহিত্য ও পঠন অভ্যাস, প্রাথমিক গণিত, পরিবেশ ও বৈশ্বিক জ্ঞান এবং শিল্প ও সৃজনশীলতা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উইটন ও গাইডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হেড অব স্কুলস আবদুল্লাহ জামান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বারবার নিলামের দিন শেষ, সর্বোচ্চ দর দিয়ে প্রথম নিলামেই পণ্য কেনার সুযোগ
নিলামে পণ্য কিনতে হলে এখন থেকে প্রথমবার সর্বোচ্চ দরদাতা হলেই চলবে। সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা দিয়ে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বুধবার এনবিআর এ আদেশ জারি করে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার–জট নিরসনে এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কাস্টমসের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি হওয়া নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যের নিলামে এই সুযোগ রয়েছে। অবশ্য এই বিশেষ আদেশের মধ্যে সব ধরনের যানবাহন বাদ দেওয়া হয়েছে।
আগের নিয়মে বারবার নিলামে তুলেও পণ্য বিক্রির হার ছিল কম। কারণ, আগের নিয়মে কাস্টমস কোনো পণ্যের প্রথম নিলামে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি দর পেলে পণ্য বিক্রি করতে পারত। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দরদাতা হলেও ৬০ শতাংশের বেশি দর না দিলে পণ্য বিক্রির সুযোগ ছিল না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ বাজারদরের চেয়ে বেশি হতো। এর ফলে প্রথমবার নিলামে পণ্য বিক্রির নজির ছিল কম। দ্বিতীয়বার অবশ্য প্রথমবারের চেয়ে বেশি এবং সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রির সুযোগ ছিল। এর ফলে কোনো পণ্য বিক্রি করতে হলে বারবার নিলামে তুলতে হতো। নতুন আদেশে এই জটিলতা কাটল।
নতুন আদেশে নিলাম ছাড়াও বিকল্প উপায়ে পণ্য হস্তান্তরের সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন চিনি, ডাল, তেলসহ পচনশীল পণ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে প্রস্তাবিত মূল্যে বিক্রি করতে হবে। সব ধরনের সুতা তাঁত বোর্ডের অফার মূল্যে তাঁত বোর্ডকে প্রদান করতে হবে। মদ ও মদজাতীয় পানীয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্ডেন্ড প্রতিষ্ঠানের কাছে অফার মূল্যে বিক্রি করতে হবে। সার বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার সমিতির সদস্যদের কাছে অফার মূল্যে বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া বিস্ফোরক, ওষুধের কাঁচামালও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে আদেশে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ আদেশের কারণে বন্দর থেকে অন্তত তিন হাজার কনটেইনার পণ্যের দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করা যাবে। এতে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণের সুযোগ হবে।