নগর ভবনকেন্দ্রিক লুটপাট চালু রাখতে মেয়র হিসেবে শপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে
Published: 17th, May 2025 GMT
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, নগর ভবনকেন্দ্রিক লুটপাট চালু রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা চাইছে, তাদের নিজস্ব দলীয় ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে বসাবে এবং আগামী নির্বাচনের সময় একটা ফায়দা লুটবে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক লুটপাট চলছে নগর ভবনকেন্দ্রিক এবং বিভিন্ন ঠিকাদারিসহ সব কিছুতে সেগুলো চলমান রাখার জন্য তারা এখন আমাকে বাধা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশের ২০ দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শপথের জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। শপথ গ্রহণে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না এবং এ নিয়ে কেন কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পর ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বুধবার থেকে তাঁর সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
ইশরাকের পক্ষে মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, সে সম্পর্কে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর কমিশনকে পাল্টা চিঠি লিখে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেখানে একাধিক রেফারেন্স দিয়ে বলার চেষ্টা করেছে কমিশন আপিল করবে কি না। অথচ নির্বাচন কমিশন কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এরপরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কালক্ষেপণ করার জন্য আবার চিঠি দিয়েছে। নানা ধরনের কালক্ষেপণের আশ্রয় তারা নিয়েছে। এটির মধ্য দিয়ে স্পষ্টই বোঝা যায়, সরকারের ভেতর একটি সরকার রয়েছে। যারা এখন দলীয় আচরণ করছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে।
বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর এ সরকার একধরনের হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচনের এর প্রভাব কী হতে পারে, সেটা নিয়ে জনগণ এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, এ আন্দোলন তিনি আহ্বান করেননি। কারা নগর ভবনে তালা দিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না। জনদুর্ভোগ হয় এমন কিছু না করতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এ–ও বলেছেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের অধিকার তিনি ক্ষুণ্ন করতে পারছেন না। কারণ, এখন অনেকেই তাঁদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র ইশর ক হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
নগর ভবনকেন্দ্রিক লুটপাট চালু রাখতে মেয়র হিসেবে শপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, নগর ভবনকেন্দ্রিক লুটপাট চালু রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা চাইছে, তাদের নিজস্ব দলীয় ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে বসাবে এবং আগামী নির্বাচনের সময় একটা ফায়দা লুটবে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক লুটপাট চলছে নগর ভবনকেন্দ্রিক এবং বিভিন্ন ঠিকাদারিসহ সব কিছুতে সেগুলো চলমান রাখার জন্য তারা এখন আমাকে বাধা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশের ২০ দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শপথের জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। শপথ গ্রহণে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না এবং এ নিয়ে কেন কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পর ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বুধবার থেকে তাঁর সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
ইশরাকের পক্ষে মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, সে সম্পর্কে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর কমিশনকে পাল্টা চিঠি লিখে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেখানে একাধিক রেফারেন্স দিয়ে বলার চেষ্টা করেছে কমিশন আপিল করবে কি না। অথচ নির্বাচন কমিশন কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এরপরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কালক্ষেপণ করার জন্য আবার চিঠি দিয়েছে। নানা ধরনের কালক্ষেপণের আশ্রয় তারা নিয়েছে। এটির মধ্য দিয়ে স্পষ্টই বোঝা যায়, সরকারের ভেতর একটি সরকার রয়েছে। যারা এখন দলীয় আচরণ করছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে।
বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর এ সরকার একধরনের হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচনের এর প্রভাব কী হতে পারে, সেটা নিয়ে জনগণ এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, এ আন্দোলন তিনি আহ্বান করেননি। কারা নগর ভবনে তালা দিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না। জনদুর্ভোগ হয় এমন কিছু না করতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এ–ও বলেছেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের অধিকার তিনি ক্ষুণ্ন করতে পারছেন না। কারণ, এখন অনেকেই তাঁদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন।