আ.লীগ বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চক্রান্ত করছে: মজিবুর রহমান
Published: 17th, May 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, পরাজিত আওয়ামী লীগ ও তাদের আশ্রয়দাতা ভারতের সরকার বসে নেই। দিন–রাত তারা ভাবছে কীভাবে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা যায়।
আজ শনিবার বিকেলে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এবি পার্টির প্রধান। খুলনা প্রেসক্লাবে দলটির জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত এই আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মজিবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষ হয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের ষড়যন্ত্রমূলক পুশ ইন ও পানি আগ্রাসনের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশবাসীকে সোচ্চার ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ও তাদের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের নির্লজ্জ আগ্রাসী মনোভাব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে দাঁড় করিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে ক্ষুদ্র স্বার্থে বিভেদে লিপ্ত না হয়ে তা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশ ইনের (ঠেলে পাঠানোর) বিষয়টি উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সামনের বর্ষা মৌসুমে ভারত পানি আগ্রাসনের মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন করতে পারে। এ ব্যাপারে এখন থেকে সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তি মিলে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত ছিল বলে মনে করেন এবি পার্টির প্রধান। তিনি বলেন, সরকার সবাইকে নিয়ে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, খুনিদের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং একটি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) তৈরি করতে পারত। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল পরস্পর বিবাদে লিপ্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই রোডম্যাপ তৈরিতে ইতিবাচকভাবে সরকারের প্রতি চাপ ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মাঝখানে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারত। কিন্তু সেসব না করে যে যার মতো বিচ্ছিন্ন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে হাসপাতালের বারান্দায় ২ নারীর সন্তান প্রসব
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও লেবার ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানারও পরও সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি প্রসূতিদের। পরে হাসপাতালের বারান্দায় নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে আড়াল করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। দুই প্রসূতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। তিনি একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন।
অন্যজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, এদিন বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলার ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান দুই প্রসূতি ও তাদের স্বজনরা। স্বজনরা কর্তব্যরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শোনেনি বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরি বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।
এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পাননি। পর্দা করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। পরে সেখানে উপস্থিত নারীরা নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে পর্দার ব্যবস্থা করেন। প্রথমজনের ১০ মিনিট পরে অপর প্রসূতিও একইভাবে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “যে ওয়ার্ডটিতে সন্তান প্রসব করেছেন সেটা পুরোটাই লেবার ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ নারী আসেন। যারা বিভিন্ন উপজেলা থেকে রেফার্ড হয়ে আসেন। দেখা যায় তারা অন্তিম মুহূর্তে আসেন তখন সিরিয়াল থাকে না। এছাড়া একটি বাচ্চা চার মাস আগে ডেড ছিল। সেটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অপর মায়ের ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”
তিনি জানান, কোন এক রোগীর স্বজন লেবার ওয়ার্ডের ছবি তুলে বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে ডাক্তার বা নার্সদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না। সবাই ওভার লোডেড হয়ে কাজ করছে। তার জন্য চাইলেও আমরা শতভাগ সার্ভিস দিতে পরি না। সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/নূর/এস