Samakal:
2025-11-02@06:25:41 GMT

বাজেটের আয়নায় নারীর মুখ

Published: 17th, May 2025 GMT

বাজেটের আয়নায় নারীর মুখ

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা অর্জনের লড়াই দীর্ঘদিনের। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ‘জেন্ডার বাজেট’ ধারণাটি সরকারি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়– বরাদ্দ বাড়ছে, কিন্তু নারীর জীবনে এর প্রভাব কতটুকু? লিখেছেন শাহেরীন আরাফাত

কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রাম। সকালের সূর্য উঁকি দেওয়া শুরু করেছে মাত্র। মেঠো পথে হেঁটে যাচ্ছেন নূরজাহান বেগম। দুই হাতে একটি ঝুড়ি। তাতে হাঁসের ডিম, কিছু শাকপাতা। গন্তব্য পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বাজার। গায়ের ঘাম ঝরিয়ে আয় করেন ১০০ টাকার মতো। এই সামান্য টাকাই তাঁর দুই মেয়ের স্কুল, নিজের ওষুধ আর পরিবারের নুন-চাল জোগানোর সম্বল।
নূরজাহান জানেন না অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো মেগা প্রকল্পের কথা। তাঁর কাছে ‘জেন্ডার বাজেট’ শব্দবন্ধের অর্থও অজানা। কিন্তু তাঁর প্রতিদিনের সংগ্রামের ভেতরই লুকিয়ে আছে জাতীয় বাজেটের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন– দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই প্রান্তিক নারীর জায়গা কোথায়?
অনেকেই ভাবেন ‘জেন্ডার বাজেট’ হয়তো নারীর জন্য আলাদা কিছু বরাদ্দ। বাস্তবে এটি এক ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতি– যেখানে দেখা হয়, একটি সরকারি ব্যয়পরিকল্পনা নারী, পুরুষ ও অন্যান্য লিঙ্গীয় পরিচয়ের মানুষের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে।
দুই.


ঘর থেকে বের হয়ে কারখানা কিংবা পরিষেবা খাতে কাজ করে নিজের জীবনের মোড় ঘুরিয়েছেন নারীরা। এর মাধ্যমে তারা অসময়ে নিজের বিয়ে ঠেকানো, ভূমিহীনতা রোধ, পরিবারকে সমর্থন দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ঘরের মধ্যে নারীর অবস্থা তেমন বদলায়নি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অর্থায়নে বিবিএসের ‘নারীর ওপর সহিংসতা শীর্ষক জরিপ ২০২৪’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ৭০ শতাংশ নারী জীবদ্দশায় অন্তত একবার হলেও স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হন। 
এর বাইরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৪৯ শতাংশ নারী শারীরিক, মানসিক ও যৌন সহিংসতার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এই নারীরা মনে করেন, ৯০ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হন কর্মক্ষেত্রে ও গণপরিবহনে। 
অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(২) অনুচ্ছেদে ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার’-এর কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের সিডও সনদেও বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৫ অনুযায়ী, নারীর সমঅধিকার এবং নারী ও কন্যাশিশুর ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে বাংলাদেশ শুধু পিছিয়ে নয়, রীতিমতো উল্টো পথে হাঁটছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক জেন্ডার বৈষম্য প্রতিবেদন ২০২৪ অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় বিশাল পতন ঘটেছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও আগের বছরের তুলনায় ৪০ ধাপ পিছিয়ে ১৪৬ দেশের অবস্থান ৯৯তম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে ও সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে এবারের সূচকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে। মাত্র ০.৩১১ স্কোর নিয়ে ১৪৬টি দেশের মধ্যে শেষ অবস্থানে বাংলাদেশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য আরও বেড়েছে। তা ছাড়া, ছয় বছর আগের তুলনায় বাংলাদেশে নারী-পুরুষের আয়বৈষম্য বেড়ে পাঁচগুণ হয়েছে। পেশাজীবী ও প্রযুক্তিগত চাকরিতে নারীরা মোট কর্মসংস্থানের মাত্র এক-পঞ্চমাংশের মতো। অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ পদে নারীর অনুপাত কমেছে।
তিন.
বাংলাদেশে জেন্ডার বাজেট পদ্ধতির সূচনা হয় ২০০৯-১০ অর্থবছরে মাত্র ৪টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। বর্তমানে ৪৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেটে এটি অন্তর্ভুক্ত। এখানে কৃষি মন্ত্রণালয় 
নেই। অথচ আমাদের নারী শ্রমশক্তির ৬৬ শতাংশই কৃষি খাতে নিয়োজিত।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার নারী কৃষক কহিনূর বেগম বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ পাই; কিন্তু সরকারি কৃষিঋণ পাই না। কৃষি অফিসে শুধু পুরুষদের ডাকা হয়। আমরা কি কৃষক না?’ অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জেন্ডার বাজেট একটি অগ্রগামী পদক্ষেপ। বাস্তবে তার প্রতিফলন এখনও অসম্পূর্ণ।
বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির বলেন, ‘বাজেট হলো একটা দেশের অর্থনীতি গোটা বছরজুড়ে কীভাবে চলবে, তার রূপরেখা। জেন্ডার বাজেটিং হলো– এই বাজেটে লিঙ্গীয় সমতা কতটুকু থাকছে, তা তুলে ধরা। এ বাজেটে নারী কী পাবে, কোন প্রকল্পে সে কীভাবে উপকৃত হবে, তা জেন্ডার বাজেটে উঠে আসে। যেমন কৃষি খাতে যখন বরাদ্দ দেওয়া হবে, তখন এখানে নারী কৃষক কীভাবে উপকৃত হবেন, এসব বিষয় চিন্তা না করলে তা জেন্ডার সংবেদনশীল হবে না। অথচ আগের জেন্ডার বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয় যুক্তই ছিল না। আরেকটা উদাহরণ হতে পারে স্বাস্থ্য খাত, বা শিক্ষা খাত; যেখানে নারীর জন্য পৃথক বরাদ্দ থাকতে হবে। সবার সঙ্গে যে বরাদ্দ থাকে, সেটিকে পৃথকভাবে নারীর জন্য বরাদ্দ বলা যায় না। আবার এই অপর্যাপ্ত বরাদ্দও ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয় না। অনেক ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থ খরচও করা হয় না। নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা না থাকলে বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব হবে না। তাই এ ক্ষেত্রে নারীবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।’
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের গার্মেন্টকর্মী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাটা ছোট। একলা ঘরে রাইখ্যা যাইতে অয়। ডর লাগে। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই, কারখানায় যাইতেই হইব। মনডা পইরা থাহে। বাচ্চাটা নিরাপদ জায়গায় রাইখ্যা যাইতে পারলে চিন্তা থাকত না।’ 
এখানেই প্রশ্ন ওঠে, জেন্ডার বাজেট কি কেবল দায় এড়ানোর বিষয়; না কি তা বাস্তব জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়?
রংপুর অঞ্চলের মাঠ পর্যায়ের উন্নয়নকর্মী সামিয়া হক বলেন, ‘যদি ইউনিয়ন পর্যায়ে নারীর সঙ্গে বাজেট শুনানি হতো, তাহলে নারীর অভিজ্ঞতা সরাসরি বাজেটে প্রতিফলিত হতো। এখন তা হয় না। তাই প্রান্তিক নারীর কথা সেখানে থাকে না।’
একটি বাজেট আসলে কতটা মানবিক– তা বোঝা যায়, যখন একজন নারী তাঁর কৃষক পরিচয়ে গর্বিত হতে পারবেন; যখন রাবেয়া আক্তারদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা আমেনাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা থাকবে বাজেটে; তখন সেই বাজেট হবে ওই প্রান্তিক নারীদের। এভাবে বাজেট কেবল সংখ্যার সারণি নয়, হয়ে উঠতে পারে মানুষের গল্প। সেসব গল্প যত বেশি নারীর, ততটাই তা সমতার, ততটাই তা সভ্যতার। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য বর দ দ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।  

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।” 

শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। 

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। 

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী। 

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। 

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা। 

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ