চাঁদপুর শহরে ম্যানহোলের ভেতর জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে শহরের কদমতলা এলাকায় পৌরসভার আবাসিক ভবনের সামনে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমেদ কাজল বলেন, “আহত মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আহত অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
আহতরা হলেন- তন্নী আক্তার (৩৫), তার ছেলে রোহান (৮) এবং আরেক শিশু মো.
আরো পড়ুন:
নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে
কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান
আহত তন্নী শহরের গুনরাজদী এলাকার ইমরুল আহমেদের স্ত্রী। তাদের ছেলে রোহান ওই এলাকার বেগম মসজিদ দারুল ইমাম মাদরাসার ইকরা বিভাগের ছাত্র। শিশু রাহিম একই এলাকার মো. হান্নানের ছেলে এবং ওই মাদরাসার একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “মাদরাসা ছুটির পর দুপুর ১টার দিকে তন্নী আক্তার, তার ছেলে রোহান এবং রাহিম ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় পৌরসভার ম্যানহোলের ভেতর জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়। এতে তারা তিনজনই আহত হন। বিস্ফোরণে ম্যানহোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর পৌর প্রশাসক জাকারিয়াসহ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী