কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। জেলার অন্যতম চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৭ মে) কয়েক দফা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। 

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ূন আহমেদ বলেন, “বন্যা মোকাবিলায় শেরপুর জেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের দ্রুত আধা-পাকা ধান কেটে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা দ্রুত কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ফেনীতে বন্যায় আশ্রয় হারানো ১১০ পরিবার পেল নতুন ঘর

কঙ্গোর রাজধানীতে প্রবল বৃষ্টিপাতে ৩৩ জনের প্রাণহানি

শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রতিটি উপজেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও বন্যা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য নদ

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৯টি মামলা রয়েছে।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-১১। 

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার

হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

মিল্টন সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মাকহাটি গ্রামের বারেক মল্লিকের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, মিল্টন দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। কখনো অস্ত্রের মহড়া, কখনো চাঁদাবাজি, কখনো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার নিয়মিত কৌশল। গত ৩১ অক্টোবর যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি তাজা ককটেল এবং দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার হয়। তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। 

চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে মিল্টন মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। র‍্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে টঙ্গীবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে বলেন, ‍“রবিবার সন্ধ্যায় র‍্যাব মিল্টনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমাদের রেকর্ডে তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলার তথ্য রয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।” 

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ