শব্দকুঠির আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদ্যাপন
Published: 19th, May 2025 GMT
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম দুজনেই বাংলা সাহিত্যকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তাঁদের বিচরণ দেখা যায়। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেজাউদ্দিন স্টালিন এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন ছিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান। আলোচনায় তিনি বলেন, নজরুলকে অনেকে রবীন্দ্রনাথের কাছে সাধারণের মতো করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ জানতেন নজরুল কত বড় কবি। নজরুলকে তিন যুগের কণ্ঠস্বর হিসেবে মূল্যায়ন করতেন। আর রবীন্দ্রনাথ তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের জন্য অবদান রেখে গেছেন।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র-নজরুলকে নিয়ে অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী, হরষিত বালা, কবি শাহীন রেজা, লেখক ও সাংবাদিক আশফাকুজ্জামান ও কবি আতিয়ার রহমানসহ আরও অনেকে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান নন্দিত সংগীত শিল্পী তিমির নন্দী। এ ছাড়া নীলিমা শীল, তুলি খান ও শ্রেয়সী মজুমদার অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
কবিতা আবৃত্তি করেন কবি রোকসানা রহমান, ফারজানা এলি, ঝরণা রহমান, আয়শা জাহান নূপুর, অনিতা দাশ, শরীফ খান দীপ, লিন্ডা আমীন, খলিলুর রহমান, শেলিনা শেলি, লিলি হক, ইকবাল হোসেন ও ফরিদুজ্জামানসহ আরও অনেকে। নাচ পরিবেশন করেন শ্রেয়সী মজুমদার।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শব্দকুঠির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক রোকসানা রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শব্দকুঠির মিডিয়া সম্পাদক অনিতা দাস।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’