রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম দুজনেই বাংলা সাহিত্যকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তাঁদের বিচরণ দেখা যায়। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেজাউদ্দিন স্টালিন এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান। আলোচনায় তিনি বলেন, নজরুলকে অনেকে রবীন্দ্রনাথের কাছে সাধারণের মতো করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ জানতেন নজরুল কত বড় কবি। নজরুলকে তিন যুগের কণ্ঠস্বর হিসেবে মূল্যায়ন করতেন। আর রবীন্দ্রনাথ তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের জন্য অবদান রেখে গেছেন।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র-নজরুলকে নিয়ে অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী, হরষিত বালা, কবি শাহীন রেজা, লেখক ও সাংবাদিক আশফাকুজ্জামান ও  কবি আতিয়ার রহমানসহ আরও অনেকে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান নন্দিত সংগীত শিল্পী তিমির নন্দী। এ ছাড়া নীলিমা শীল, তুলি খান ও শ্রেয়সী মজুমদার অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

কবিতা আবৃত্তি করেন কবি রোকসানা রহমান, ফারজানা এলি, ঝরণা রহমান, আয়শা জাহান নূপুর, অনিতা দাশ, শরীফ খান দীপ, লিন্ডা আমীন, খলিলুর রহমান, শেলিনা শেলি, লিলি হক, ইকবাল হোসেন ও ফরিদুজ্জামানসহ আরও অনেকে। নাচ পরিবেশন করেন শ্রেয়সী মজুমদার।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শব্দকুঠির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক রোকসানা রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শব্দকুঠির মিডিয়া সম্পাদক অনিতা দাস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আমি বিশ্বাস করি, ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

গতকাল রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেলা ১১টা ১২ মিনিটে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো–

‘আমি সাধারনত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাবো। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিলো।

‘ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাতো অনেকদিন ধরেই ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে। এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরো সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো—এই আশা। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের প্রধান কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ