চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সদস্যভুক্ত স্বনামধন্য ৫টি ট্রেকহোল্ডার ফিক্স/ফাস্ট প্রোটকল সার্টিফিকেট প্রদান করেছে এবং একইসঙ্গে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট টেকনোলজি ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করেছে। এই কর্মশালায় সিএসই’র বিভিন্ন ট্রেকদের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার (১৮ মে) চট্টগ্রামে সিএসই’র প্রধান কার্যালয়ে ট্রেকহোল্ডারকে ফিক্স/ফাস্ট প্রোটকল সার্টিফিকেট প্রদান ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সিএসই’র এক্সচেঞ্জ ব্রেন্ডিং ডিপার্টমেন্টের পিএন্ডসিআর তানিয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসই’র সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ, কী ঘটছে বিএসইসির চেয়ারম্যানের ভাগ্যে?

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফিক্স/ফাস্ট প্রোটকল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ট্রেকগুলো হলো- আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড ফিনান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, রয়্যাল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। এর মাধ্যমে ট্রেকগুলো তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার উল্লেখিত ট্রেকদের সম্মানিত প্রতিনিধিদের কাছে ফিক্স/ফাস্ট প্রোটকল সার্টিফিকেটগুলো হস্তান্তর করেন। এসময় সিএসই’র চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান, জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব বিজনেস অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট মোহাম্মদ মনিরুল হক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব আইটি সার্ভিসেস হাসনাইন বারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব সারভিলেন্স অ্যান্ড মপস মো.

নাহিদুল ইসলাম খান, সংশ্লিষ্ট ট্রেকগুলো থেকে সম্মানিত প্রতিনিধিরা এবং সিএসই’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, এই ফিক্স/ফাস্ট প্রোটকল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ট্রেকহোল্ডারগণের জন্য সময়োপযোগী এবং লেনদেনের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী। এটি মূলত একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম যার মাধ্যমে ব্রোকারদের উভয় বাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে শর্ট সেল প্রতিরোধ করতে পারবে এবং ডিএসই এবং সিএসই উভয় মার্কেটের শেয়ারের তুলনামূলক উপস্থিতি খুব সহজে একটি প্লাটফর্মে দেখে কেনাবেচার দ্রুত সিন্ধান্ত নিতে পারবে। এই প্রযুক্তি পুঁজিবাজারের লেনদেনের ধারাকে আরো অগ্রগামী করবে।

তিনি সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

এরপর ‘ক্যাপিটাল মার্কেট টেকনোলজি ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় কোয়ান্ট ফিনটেক লিমিটেডের সিইও মো. জাভেদ হোসেন ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন। এছাড়া ক্যাপিটাল মার্কেট টেকনোলজির আধুনিক ও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কিভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ করা যায় সে ব্যাপারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বিশদ আলোচনা করেন। এই কর্মশালায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ট্রেক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ক স ফ স ট প র টকল স র ট ফ ক ট স এসই র উপস থ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ