‘মনোনীত হয়ে সত্যি সম্মানিত বোধ করছি’
Published: 20th, May 2025 GMT
সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র
সেরা চিত্রনাট্যকার
আবদুল্লাহ আল মামুন (কাইকর) (‘পরস্পর’)
আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ মেরিল-প্রথম আলো এবং সম্মানিত জুরিবোর্ডের প্রতি, যাঁরা আমার কাজকে মূল্যায়ন করেছেন। এই স্বীকৃতি আমাকে ভবিষ্যতে আরও মননশীল ও গভীরতাসম্পন্ন গল্প বলার প্রেরণা জোগাবে। সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা আমার দর্শকদের প্রতি। যাঁদের ভালোবাসা, মতামত আর বিশ্বাসই আমাকে সব সময় নতুন কিছু করার সাহস দেয়। এই মনোনয়ন আমি তাঁদের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে চাই।
রিফাত আদনান পাপন (‘পরস্পর’)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বরাবরই দেশের শিল্পী সমাজের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও স্বীকৃতির মাধ্যম। আর এই মাধ্যমে সমালোচকদের বিচারে চূড়ান্ত মনোনীত হয়ে আমি সত্যি সম্মানিত বোধ করছি। জুরিবোর্ড ও মেরিল–প্রথম আলোর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যেকোনো স্বীকৃতি বা মনোনয়নই অনুপ্রেরণা জোগায়, আশা করি এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে সামনেও আরও অনেক ভালো ও মানসম্মত কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব। ধন্যবাদ মেরিল-প্রথম আলোকে।
সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি (‘পরস্পর’)
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এ সেরা চিত্রনাট্যকারের মনোনয়ন আমার জন্য বিশেষভাবে আবেগপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই আমার টুকটাক লেখার অভ্যাস ছিল এবং সেই অভ্যাস বড় হয়ে এত সম্মান বয়ে আনবে, তা সত্যিই অভাবনীয়।
জাহান সুলতানা (‘তিথিডোর’)
‘তিথিডোর’ নাটকের জন্য চিত্রনাট্যকার হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। এ গল্পটা সেসব নারীর, যাঁরা প্রতিনিয়ত যে শুধু সোশ্যাল ট্যাবুর সঙ্গে ধুঁকছেন তা নয়, বরং এ যুদ্ধটা তাদের নিজের সঙ্গেও। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে স্বরূপে গ্রহণ করতে পারাটাই, ভালোবাসতে পারাটাই যে ভীষণ কঠিন। গল্পটা দিন শেষে নিজের কাছে ফেরা এবং একটা সেলফহিলিংয়ের গল্প। দর্শক কাজটা এত ভালোবেসেছেন। সমালোচকেরা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এটাই আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি।
সুব্রত সঞ্জীব (‘রোদ বৃষ্টির গল্প’)
আমরা মফস্সলের মানুষ, কাজও তৈরি করি মফস্সলে থেকে। এত বছর কাজ করার পর যখন মেরিল-প্রথম আলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া হয়, তখন অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাই না। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সৃষ্টিকর্তা, পরিবার, সম্মানিত বিচারক ও মেরিল–প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে। ধন্যবাদ টিমের সবাইকে। আমার মতো একজন ঢাকার বাইরে থেকেও কাজ করে এ পর্যায়ে আসাটা অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণার জায়গা হবে। রোদ বৃষ্টির গল্প–এর সব কলাকুশলীর পরিশ্রমের ফল আজকের এই মনোনয়ন।
সেরা নির্দেশক
জাহিদ প্রীতম (‘বুক পকেটের গল্প’)
সৃজনশীল কাজের সাফল্য বলতে আমি বুঝি দর্শকের প্রতিক্রিয়া এবং কাজটির প্রতি তাঁদের অনুভূতির প্রকাশকে। একজন নির্মাতা হিসেবে আমি দর্শকের এই ভালোবাসাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখি, সব সময়ই আমি বলি দর্শকই আমার গল্প বলার শক্তি! এবার অনুভূতির পাল্লায় যোগ হলো মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪–এ বুক পকেটের গল্প–এর জন্য সমালোচক বিভাগে চূড়ান্ত মনোনয়ন। বছরব্যাপী কয়েক হাজার কাজের মধ্যে দর্শকেরা বুক পকেটের গল্পকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাঁদের ভালোবাসা দিয়ে, আর বিজ্ঞ বিচারক সেই কাজকেই যখন যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত করেন, তখন ভালো লাগাটাও দ্বিগুণ হয়ে যায়! যেকোনো স্বীকৃতিই আনন্দের। মেরিল-প্রথম আলো পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় ‘বুক পকেটের গল্প’কে যোগ্যতম নির্মাণ হিসেবে নির্বাচন করার জন্য।
পথিক সাধন (‘কিছু কথা বাকি’)
কিছু কথা বাকির জন্য সেরা নির্দেশক হিসেবে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের সমালোচকের মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা ও আনন্দের। কাজটি করার সময় আসলে গল্প আর প্রতিটি ক্যারেক্টার নিয়েই ভেবেছি, কীভাবে প্রতিটি চরিত্রকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। সবার সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল আজকের এই অর্জন, ধন্যবাদ জানাই আমার সব কলাকুশলীকে। ধন্যবাদ জানাই মেরিল–প্রথম আলো ও জুরিবোর্ডকে আমাদের সবার পরিশ্রমকে তাঁরা মূল্যায়ন করেছেন। আমি নির্দেশনার শুরু থেকে ঘুণে ধরা সমাজের ছোট ছোট বিষয়কে স্ক্রিনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, এখনো করছি। আমার এই পথ চলতে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবশেষে বলতে চাই, সেরা নির্দেশক হিসেবে যিনিই পুরস্কার পাবেন, তাঁকে আমার পক্ষ থাকে শুভকামনা থাকবে।
সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি (‘পরস্পর’)
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার আমাদের দেশে একটি অত্যন্ত সম্মানজনক স্বীকৃতি। এই মঞ্চে সেরা নির্দেশক হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও উৎসাহিত। আমার নির্মাণশৈলী দর্শক সমাদৃত করছেন, এটি আমার জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি। তার ওপর মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এ সেরা নির্দেশক ও সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে দ্বৈত মনোনয়ন আমার আনন্দকে ষোলো আনা পূর্ণ করেছে।
সেরা অভিনেত্রী
তাসনিয়া ফারিণ (‘পরস্পর’)
পরস্পর আমার ভিন্ন ধরনের একটি কাজ। হাস্যরসের মাধ্যমে নাটকে একটি বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। কাজটা দর্শকও খুব পছন্দ করেছিল। একটা দৃশ্য খুব ভাইরাল হয়েছিল। সমালোচকদেরও কাজটা ভালো লেগেছে, আমি মনোনয়ন পেয়েছি, তাই অনেক ভালো লাগছে। আমার বেশি ভালো লাগছে এই নাটকের নাট্যকার, নির্দেশক এবং অভিনেতাও মনোনয়ন পেয়েছেন। সবার জন্য শুভকামনা।=
মেহজাবীন চৌধুরী (‘তিথিডোর’)
তিথিডোর আমার অভিনয়জীবনের একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই নাটকে ‘নিশাত’–এর চরিত্রটি আমাকে এক অনন্য অভিজ্ঞতা দিয়েছে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এ সমালোচকদের বিচারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এ যাত্রাটিকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। দর্শক ও সমালোচকদের ভালোবাসা এবং স্বীকৃতির জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
সাদিয়া আয়মান (রোদ বৃষ্টির গল্প)
প্রথমবারের মতো সমালোচকদের বিচারে মনোনয়ন পেয়েছি। পুরস্কার পাই বা না পাই, মনোনয়নটাই অনেক আনন্দের। সম্মানিত জুরি আমার কাজকে বিবেচনায় রেখে সমালোচক ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দিয়েছেন, এটাতেই আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি। এর আগে তারকা জরিপে ফুলের নামে নাম ও মায়া শালিক কাজের জন্য প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলাম। এবার সমালোচকদের বিচারে মনোনয়ন পেয়েছি। এই মনোনয়ন পাওয়াটা ভবিষ্যতে ভালো কাজ করার আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
সেরা অভিনেতা
ইয়াশ রোহান (‘ইতিবৃত্ত’)
সমালোচক পুরস্কারে মনোনয়ন পাওয়াটা অনেক সম্মানের। সম্মানিত বিচারকেরা আমাকে যোগ্য মনে করে চূড়ান্ত তালিকায় রেখেছেন, এটাই অনেক বড় পুরস্কার। আমি কৃতজ্ঞ বিচারকদের কাছে ও অনেক আনন্দিত মনোনয়ন পেয়ে। যে যোগ্য সেই পুরস্কার পাবে, এটাই আমি মনে করি।
খায়রুল বাসার (‘পরস্পর’)
সমালোচক পুরস্কারের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়াটাই আমার কাছে বিশেষ পুরস্কার । মেরিল, প্রথম আলো ও জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই পরস্পর নাটকের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। জুরিবোর্ডে নিশ্চয়ই গুণীজনরা আমার চেষ্টাকে মূল্যায়ন করেছেন; এটাই পুরস্কার, উপহার এবং আশীর্বাদ। আমি ভীষণভাবে অনুপ্রানিত।
খায়রুল বাসার (‘রোদ বৃষ্টির গল্প’)
মেরিল, প্রথম আলো ও জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই রোদ বৃষ্টির গল্প–এর জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। জুরিবোর্ডে নিশ্চয়ই গুণীজনেরা আমার চেষ্টাকে মূল্যায়ন করেছেন; এটাই পুরস্কার, উপহার ও আশীর্বাদ। মনোনয়ন পাওয়ার বিস্ময় এবং আনন্দ মিলে অনুভূতিটা আমার কাছে ব্যাখ্যাতীত। ভবিষ্যতেও ভালো ভালো কাজের মধ্য দিয়ে দর্শকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আরও সুন্দর হোক, এই প্রত্যাশা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল চ ড় ন ত মন ন ই প রস ক র র জন য স র চ ত রন ট ব চ রক অন ভ ত ক র জন প রক শ ই আম র আম র ক আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ