পাঁচ ম্যাচ নয়, সিরিজ হবে তিন ম্যাচের—এমনটা চূড়ান্ত হয়েছিল গতকালই। আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেই তিন ম্যাচের দিনক্ষণ।

পিসিবির সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিরিজের সব ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সিরিজ শুরু হবে ২৮মে বুধবার। পরের দুটি ম্যাচ ৩০ মে শুক্রবার ও পয়লা জুন রোববার। সব কটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।

আগের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে পাঁচ টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল লাহোর ও ফয়সালাবাদে। তবে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে সিরিজই অনিশ্চয়তাই পড়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে সরকারের সবুজ সংকেতে দেরিতে হলেও সিরিজটি খেলার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অনুরোধ জানান, যেন দ্রুত সময়ে সফর শেষ করা যায়। ঈদুল আজহার আগেই দেশে ফেরার চিন্তা থেকে শেষ পর্যন্ত সিরিজের ব্যাপ্তি ৫ থেকে ৩ ম্যাচে নামিয়ে আনা হয়েছে। ভেন্যু তালিকা বাদ পড়েছে ফয়সালাবাদও।

সফরটি নিয়ে গতকাল দুবাইয়ে পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন। বিসিবি ম্যাচ তিনটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয় ২৭, ২৯ ও ৩১ মে। কিন্তু পিসিবির প্রস্তাব ছিল ২৮ ও ৩০ মে এবং ১ জুন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ইচ্ছেতেই সিরিজের সূচি নির্ধারিত হয়েছে।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে এখন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জিতলেও পরের ম্যাচে দুই উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে আজ শারজায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত।
এই ম্যাচের পর কাল বিশ্রাম নেবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এরপর দুবাইয়ে দুই দিন অনুশীলন করার কথা রয়েছে তাঁদের। ২৫ মে তিন ম্যাচের পাকিস্তানের উদ্দেশে উড়াল দেবেন লিটন দাসরা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ২৬ ও ২৭ মে লাহোরেও দুই দিন অনুশীলন করবে বাংলাদেশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম

বাসায় ফিরেছেন রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়া জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান। রোববার সকালে তিনি বাসায় ফেরেন। সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

মুশফিকুর রহমানের পরিবারের বরাত দিতে ওসি সাজ্জাদ বলেন, 'ভুল করে বাসায় মোবাইল ফোন রেখে বের হয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মুশফিকুর। এরপর কুয়াকাটায় ঘুরতে যান।'

এর আগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে মুশফিকুরের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। এ ঘটনায় মুশফিকুরের সন্ধান চেয়ে তার পরিবার খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম (মানব সম্পদ বিভাগ) মুশফিকুর রহমান নান্নু (৫৮) খিলক্ষেতের বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর তার পরিবার শনিবার খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েনি (জিডি) করেন।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, মুশফিকুর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইল ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যাননি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসার পাশের মসজিদে তিনি প্রবেশ করেননি।

মুশফিকুরের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, তার বড় ভাই জনতা ব্যাংকের মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম। তাদের বাসা খিলক্ষেত পূর্ব নামাপাড়ায়। টানা তিন দিন (ব্যাংক) বন্ধ থাকায় তিনি (মুশফিকুর) কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় ভুল করে মোবাইল ফোন রেখে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার গাড়ি মিস করেছেন, এজন্য পরদিন ফিরতে পারেননি। গতকাল শনিবার বিকেলে আমাদের বিষয়টা জানান। এরপর আজ সকালে তিনি বাসায় ফিরে এসেছেন। একটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫৩ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন সালেহা বিবি
  • গৌরীকে কি বিয়ে করেছেন আমির খান
  • অক্সফোর্ডে পড়ে চাকরি মেলেনি, যে সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক
  • সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই শিক্ষার্থী
  • অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষে ফুড ডেলিভারির চাকরি
  • লারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা না করেই কেন ইনিংস ঘোষণা, জানালেন মুল্ডার
  • এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা কতটা নির্ভুল
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম