পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য টানা ২৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২৫ মে (রবিবার) থেকে শুরু হয়ে এই ছুটি চলবে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সেবা চালু এবং একমাত্র ছাত্রী হলটি খোলা থাকবে।
বুধবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম
চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৪ জুন (বুধবার) থেকে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও দপ্তরগুলো বন্ধ থাকবে।
তবে ছুটি চলাকালে চালু থাকবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, নিরাপত্তা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সেবা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই দীর্ঘ ছুটি তাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসে পড়াশোনা করেন, তাদের জন্য এটি স্বস্তির খবর।
জবির শিক্ষার্থী পায়েল সরকার বলেন, “টানা ক্লাস ও পরীক্ষা শেষে এই ছুটি আমাদের জন্য অনেকটা প্রশান্তির নিঃশ্বাসের মতো। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব জরুরি।”
এদিকে ছুটির সময়েও খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রাধ্যক্ষ ড. আঞ্জুমান আরা।
তিনি বলেন, “হলের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কয়েকজন ছাত্রী হলে অবস্থান করবে। তাদের জন্য হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুবলারচরে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাসপূজা ও পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাগেরহাট জেলার চাঁদপাই রেঞ্জ ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে বন বিভাগের স্কট টিমের সঙ্গে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের মেলা আয়োজন করা হবে না। রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরো পড়ুন:
পালকি চড়ে পূজা এলেন, বরণ করলেন চঞ্চল-নিশো
১১০০ কোটি টাকা বাজেট: আইটেম কন্যা পূজার পারিশ্রমিক কত?
সুন্দরবনের পরিবেশ, বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির যৌথ টহল দল বনে মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে হরিণ শিকার ও অবৈধ প্রবেশ রোধে বনবিভাগ এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আজ সকাল ৮টায় চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীরা স্কট সহযোগে দুবলারচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রথমবার স্কট সহযোগে যাত্রা শুরু হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ যেন বনে ঢুকে হরিণ শিকারের সুযোগ না পায়।”
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নৌযান চলাচল করতে হবে এবং নির্ধারিত চেকপোস্ট ছাড়া কোথাও নোঙর করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক। তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতিপত্রে নির্ধারিত রুট ও সিলমোহর থাকতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে।
প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী দুবলারচরে সমবেত হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবছরও বন বিভাগ কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ